Bengali SerialHoop Plus

Pallavi Dey: কষ্ট পেয়েও হাসিমুখে অভিনয় করতে হয়েছে, মৃত্যুর আগে মনের কথা বলে গিয়েছিলেন পল্লবী

সাগ্নিক শুধুই ভালোবাসে, এটাই বড় পয়েন্ট সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ভালোবাসার’ কথাগুলো প্রয়াত অভিনেত্রী পল্লবী দে’র। ২৫ বছরের জন্মদিনে সাগ্নিক পল্লবীকে দিয়েছিলেন একটা আই ফোন। এছাড়াও একটা অডি গাড়ি ছিল। যদিও পল্লবীর বাবা বলছেন এই গাড়ি তার মেয়ের কেনা, উল্টোদিকে সাগ্নিকের প্রাক্তন স্ত্রী সুকন্যা মান্না বলছেন সাগ্নিক যথেষ্ট বড়লোক। বাড়িতে আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে। এর আগেও সাগ্নিকের গাড়ি ছিল। সবটাই সাগ্নিকের পরিবারের থেকে পাওয়া। সুকন্যা এও বলেন একটা মেয়ের দুবছর কাজ ছিল না লক ডাউনের জন্য, সে কি করে এত টাকা পায়?

পল্লবী দুই বান্ধবী প্রত্যুষা ও ভাবনার মনেও এই ভাবনা বহুবার এসেছে যে এত খরচ কিভাবে সম্ভব? যখন তখন ট্যুর, দামী জিনিস কেন। যদিও এতটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন কখনো করেননি এই দুই বান্ধবী। শুধু দেখেছে পল্লবী খুশি আছে কিন্তু দুজনের মধ্যে নানান ব্যাপার নিয়ে অশান্তি হতো।

দুইবার দিদি নং ওয়ান শোতে আসেন পল্লবী ও তার মা। প্রতিবার জানা গিয়েছে যে পল্লবী ভীষণ জেদি, প্রেমিক যায় আসে, এমন কাউকে পাননি যে পল্লবীর কথায় উঠবে বসবে। পাশাপাশি পল্লবীর বাবা জানান যে ঐন্দ্রিলা বলে একটি মেয়ে সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং এই নিয়ে পল্লবীর সঙ্গে ঝগড়া হয়ে থাকতো। যদিও ঐন্দ্রিলা বলেন তিনি শুধুই পল্লবীর বান্ধবী। সাগ্নিক চক্রবর্তী র সঙ্গে তার কোনো ঘনিষ্ঠতা নেই এবং কোনো প্রমাণ ছাড়া তাকে অপমান করা হচ্ছে। তাহলে কেমন মেয়ে পল্লবী? কেমন ছেলে সাগ্নিক? উত্তর যাই হোক সেটা এখন বিচার করেও পল্লবীকে ফেরত আনা সম্ভব নয়।

তবে, পল্লবী বেশ উল্লাসের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করতেন। অল্পতে কেঁদে ফেলতেন, আবার সুন্দর গান গাইতে পারতেন। আমি সিরাজের বেগম করার সময় বিভিন্ন জায়গায় স্টেজ শো করতেন। সেখানে গিয়ে পল্লবী জানান যে -হয়তো বাড়িতে মা খুব বকেছে কিন্তু শ্যুটিং সেটে গিয়ে হাসির পাঠ করতে হয়, কখনো বাড়িতে খুব মজা করেছি কিন্তু সেটে গিয়ে কাদতে হয়। অনেক পরিশ্রম হয় আধাঘন্টার সিরিয়াল তৈরি করতে, তাই প্লিজ দেখবেন। এরকমই আবদার রেখেছিলেন পল্লবী দর্শকদের কাছে। পাশাপাশি মিষ্টি গানে স্টেজ কাপিয়েছিলেন। চলুন দেখে নিই পল্লবীর মিষ্টি গলার ১০০% লাভ।

Related Articles