রান্নাঘরের রানী হলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। রোজ বিকেলে নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার নিয়ে হাজির হন জি বাংলার পর্দায়। যারা ভোজন রসিক তারা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে দারুন ভাবে চেনেন। কিন্তু, শুধু রান্নাতেই আটকে নেই তিনি। কথায় আছে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। তেমনই, সুদীপা রন্ধনের পাশাপাশি আসর জমিয়েছেন শাড়ি শিল্পে ও সোনার অলঙ্কার শিল্পে।
আজ ধনতেরাস (Dhanteras)। কার্তিক মাসের এমন তিথিতে বেশিরভাগ হিন্দুরা সোনা বা রুপোর বা পিতলের কোন মূর্তি কিংবা বাসন কেনেন। ধনতেরাস এর দিন ধাতু কেনা শুভ বলে মানা হয়, তাই এদিন সোনার দোকানে ভিড় থাকে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশী। সম্প্রতি, সুদীপা নিজে একটি সোনার গহনার শোরুম উদ্বোধন করেছেন। তার নিজস্ব কিছু ইউনিক বা দুর্মূল্য কালেকশন আছে যেগুলি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে না ধরলেও ইতিমধ্যে বিজ্ঞাপন করে জানিয়ে দিয়েছেন।
View this post on Instagram
সুদীপা বরাবর সোনা পছন্দ করেন। এবং কিছুদিন আগেও তিনি সোনার গহনা পড়া নিয়ে বিতর্কে জড়ান। অনেকে তাকে অহংকারী আখ্যাও দেন। এবারে, সুদীপা আরেকটু বেশি সমালোচিত হলেন। ধনতেরাসের দিন তিনি তার একমাত্র ছেলে আদিদেবের শরীরে একটি সোনার পৈতে( gold kids thread) দিয়ে বিজ্ঞাপন করেন। তিনি জানান এটি ২২ ক্যারেট সোনার তৈরি পৈতে। ভাবা যায় পৈতে তাও আবার সোনার! এইখানে সুদীপার উদ্দেশ্যে অনেকের মত, এখনও আদিদেবের পৈতে পড়ার বয়স হয়নি, তিনি কি হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না? কেউ কেউ অবশ্য আদিখ্যেতা এবং বড়লোকদের বড় বড় ব্যাপার বলেও কটাক্ষ করেছেন। কেউ কেউ সুদীপার ক্যাপশনে লেখা made বানান ভুল নিয়েও মজা করেন। তিনি লেখেন maid by ২২ carat gold.
হিন্দু শাস্ত্রা অনুযায়ী, হিন্দু বালকেরা ব্রাহ্মণ্যসংস্কারে দীক্ষিত হয় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর, এবং তখনই তাদের পৈতে ধারণ করতে হয়। এই উপনয়ন হিন্দু বালকদের শিক্ষারম্ভকালীন একটি অনুষ্ঠান।হিন্দুধর্মে ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য বর্ণের জন্য উপনয়নের ন্যূনতম বয়স যথাক্রমে সাত, তেরো ও সতেরো বছর।