Rail Bridge: আবার ভোগান্তি! দুই স্টেশনের মাঝে ভাঙ্গা হবে সেতু, বিপাকে পড়তে পারেন নিত্যযাত্রীরা
এবার পূর্ব রইলে তরফ থেকে শোনানো হলো, আরেকটি খবর। পূর্ব রেলে দুই স্টেশনের মাঝের একটি সেতুকে ভেঙে ফেলা হবে। এ প্রসঙ্গে তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমানের খানা জংশন থেকে বীরভূমের রামপুরহাটের লুপ লাইনে ফেলা হবে। নোয়াদার ঢাল ও বনপাস স্টেশনের মধ্যে সংযোগকারী রেল সেতু ভেঙে তা পুনরায় ভেঙে ফেলা হবে, তারপর আবার নতুন করে তৈরি করা হবে। সম্প্রতি এই কথা পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসককে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে।
জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে কি জানানো হয়েছে?
এই চিঠিতে বলা হয়েছে, খানা জংশন থেকে রামপুরহাট লুপ লাইনের মধ্যে যে সেতু রয়েছে সেই সেতুকে ভেঙে ফেলতে হবে এবং ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করতে হবে। রেলের পূর্ত দফতরের ডেপুটি চিপ প্রজেক্ট ম্যানেজার N K Gaurav পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের কাছে এই বিষয়ে অনুমতি চেয়ে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, সংশ্লিষ্ট সেতুটি অত্যন্ত পুরনো এবং জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে।
কি কারণে সেতুটি সুরক্ষিত নয়?
সেতু কেন ভেঙে ফেলা হবে আবার নতুন করে কেন নির্মাণ করা হবে। সামগ্রিকভাবে পুরো কাজ শেষ হতে কম করে অন্তত এক বছর সময় লাগবে, যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভীষণ অসুবিধা হতে পারে তাদের বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে যেতে হবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারি কৌশিক মিত্র জানান, আমরা রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি পেলে কাজ শুরু করে।
চিঠি পাওয়ার পরে শুরু হয়েছে বিতর্ক
চিঠি পাওয়ার পরেও শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। কারণ এই সেতুর ওপর দিয়ে মোট তিনটে গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন সেতু যদি ভেঙে ফেলা হয়, তাহলে গ্রামবাসীরা দাবি তুলছেন, তারা কিভাবে যাতায়াত করবেন? সেতু তৈরি করতে যদি এক বছর সময় লাগে, তাহলে গ্রামবাসীরা কোথা দিয়ে যাতায়াত করবেন?
ভোগান্তির মুখে গ্রামবাসীরা
গ্রামবাসীরা দাবি জানাচ্ছেন, যে দীর্ঘ এক বছরের জন্য এসে তো বন্ধ থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা ঠিক কি হবে তা তারা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না, ছাত্রছাত্রী স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় নিয়ে যেতে হবে। চার বছর আগে সেতুটি একবার সংস্কার করা হয়েছিল, তাতেই একমাস বন্ধ ছিল সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত সেই সময় নাকানিচোবানি খেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা, কিন্তু এক বছর ব্রিজ বন্ধ থাকলে কি হবে? এখন সেই প্রশ্নের উত্তরের আশায় রয়েছেন তারা।