Price Hike: তরতরিয়ে বাড়ছে চিনির দাম! কেজি প্রতি ১৩০ টাকায় বিকোচ্ছে চিনি
দিন দিন যান অগ্নিমূল্য হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ-মাংস, মশলাপাতি থেকে শুরু করে চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বাড়ছে দিনের পর দিন। আর এই বিষয়টি এখন শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, বছরের সব মাসেই এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়ছে গোটা দেশে। বিগত কয়েকমাস ধরেই লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের বুকে। আর এই সবকিছু মিলিয়ে যেন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেই দেশের মধ্যবিত্তদের কাছে।
ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে সেই দেশের শেখ হাসিনার সরকার। আর সেখানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় একদিকে যেমন চাপে পড়ছেন সেই দেশের সাধারণ মানুষ, তেমনই সমস্যায় রয়েছে সেই দেশের সরকার। কারণ মাসখানেক আগেই বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে কাঁচালঙ্কা বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৮০০ টাকা থেকে ১,২০০ টাকা অবধি দামে। এসবের পাশাপাশি আরো নানা শাকসবজি সহ চাল ও গমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামেও একইভাবে বৃদ্ধি দেখা গেছে। এর ফলস্বরূপ সংসার চালাতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেককেই।
তবে এসবের পাশাপাশি এবার বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদের নিত্যপ্রয়োজনীয় আরেকটি জিনিসের দাম বাড়তে চলেছে বলেই অনুমান করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে এবার চিনির দামে দেখা যাবে এই ঊর্ধ্বগতি। এমনিতেই সেই দেশে চিনি বিক্রি হয় ভারতের দ্বিগুন দামে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের চিনির দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, সেখানে সেই দেশে এই দাম ৯৮ থেকে ১০০ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) কেজিপ্রতি। আর এই দাম সেই দেশের মুদ্রায় পড়ছে কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা।
উল্লেখ্য, এই মূল্যবৃদ্ধির পিছনে অনেকেই অনেক কারণকে সামনে এনেছেন। কারো মতে, এটি আড়তদারদের কারচুপি কারণে ঘটছে। কেউ কেউ আবার দাবি করছেন ভারত থেকে চিনির কালোবাজারি কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। যদিও সেই দেশে চিনির সিংহভাগ ব্রাজিল থেকে আমদানি করতে হয়। সেই অপরিশোধিত চিনিকে আবার ফিল্টার করে বিক্রি করতে হয়। তাই এখানে অনেকটা টাকা খরচ হয়। তবে এই মূল্যবৃদ্ধি সেই দেশের জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।