Hoop NewsHoop Trending

St. Xavier’s College: অধ্যাপিকার বিকিনি ছবি ঘিরে বিতর্ক, স্নানপোশাকে ছবি দিয়ে প্রতিবাদ পরমার

শিক্ষিকা কেন বিকিনি পরবেন? কলেজ হোক বা স্কুলের শিক্ষক তার বিকিনি পরা একেবারেই উচিত নয়, এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাকে বরখাস্ত করতে পর্যন্ত পারে। ঠিক এমনটা হয়েছে ২০২১ এর অক্টোবর মাসে। ঘটনাটি ঘটে কলকাতার St. Xavier’s College এ। ওই কলেজের অধ্যাপিকা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি বিকিনি বা সুইম স্যুট বলা যেতে পারে, ওই গোছের একটি ছবি দেন, যার আয়ু মাত্র ২৪ ঘণ্টা। সেই ছবি দেওয়ার অপরাধে তার চাকরি যায় এবং কলেজ কতৃপক্ষের কাছে চূড়ান্ত অপমানিত হন। এই হল বিষয়, যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য।

পার্থ অর্পিতার মচমচে প্রেম ছেড়ে মানুষ মেতেছে Xavier’s College এর অধ্যাপিকার বিকিনি ছবি বিতর্কে। বর্তমানে,এই বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। অবশ্য, সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন।

প্রথম বর্ষের ছাত্র শিক্ষিকার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল খুলে তার স্টোরি দেখছে।বারবার সে শিক্ষিকার বিকিনি ছবি দেখছে। এতে ওই ছাত্রের বাবা মা বেজায় চটেছেন। শিক্ষিকা যেন বিকিনি ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেবেন। কেন তাদের সন্তান বারবার বিকিনি ছবি দেখবে এটা প্রশ্নের বিষয় নয়। ছেলেটির এক্ষেত্রে কোনো দোষ নয়। যত দোষ নন্দ ঘোষ, অর্থাৎ মেয়েদের। সেই কারণে, পড়াশুনো করে টিচার হওয়ার পরেও ’ নীতি পুলিসি’র শিকার, নারী পুরুষ বিভাজনের শিকার। ব্যাক্তিগত জীবনের রঙিন স্বপ্ন মেলে ধরার দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম হোক সোশ্যাল মিডিয়া, কিন্তু, এখানেও হস্তক্ষেপ কলেজ কতৃপক্ষের। শেষে শিক্ষিকা ছাঁটাই।

পুরো বিষয়টি মিডিয়ায় আসার পর অনেকেই ওই শিক্ষিকার হয়ে আওয়াজ তুলেছেন। এই যেমন শিল্পী পরমা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Paroma Banerji) সদ্য নিজের একটি সুইম স্যুট পরা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন একটি দীর্ঘ পোস্ট। তার কথায়, “৫ থেকে ১৬, সাঁতার কেটেছি। সেই সময় সাঁতারের পোশাক ওয়ান পিস এনে দিত পরিবার। এখন বড় হয়েছি। দুই ছেলের মা। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছুটা রক্ষণশীলভাবে নিজেকে ক্যারি করতাম।” এখানেই শেষ নয়। তিনি আরো সংযোজন করে লেখেন, “জীবনে এই প্রথমবার এতটা অনাবৃত একটা সাহসী ছবি দেওয়ার দুঃসাহস করছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানি না কীভাবে তা গৃহীত হবে। তবে এটা অবশ্যই বলব যে আমাদের সমাজে এই কলেজের ঘটনাটা একটা মাইলস্টোন চিন্তাধারার বদল আনতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।”

Related Articles