শহরের কোথায় কোথায় হবে প্রবল বৃষ্টি! কি বলছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর
শীত বিদায় নিলেও সকালের দিকে হালকা শীতের হাওয়া বয়ে চলেছে এখন অনেক জেলাতেই। তবে এবছর শীত যেমন মাঘ মাস অব্দি দীর্ঘস্থায়ী ছিল, সেরকমই ফাল্গুনের শুরুতে চড়চড় করে পারদ বাড়তে থাকে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানিয়েছে, এবছরের শুরুতে যেমন ছিল শীত তেমনি সেরকম গরমেও রেকর্ড পড়বে। কথামতো তাই হচ্ছে। ক্যালেন্ডার বলছে বৈশাখ আসতে বেশ দেরী চৈত্র মাসে গরম তার খেলা দেখানো শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের জেলায় জেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছিল। রাতের দিকে, ভোরের দিকে শীতের আমেজ এখনও অব্যাহত।
সকালের দিকে হাল্কা ঠান্ডা অনুভব হলেও বেলা বাড়তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সাথে মনোরম আবহাওয়া থাকলেও, বাংলার দক্ষিণের আবহাওয়া বেশ শুষ্ক হয়ে উঠেছে। তবে আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু এলাকায়। কলকাতায় এখনই কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই তবে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে কাল বৃষ্টি হলেও সোমবার থেকে আবারও বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ।
শনিবার কলকাতা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে কিছুটা কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়তেই রোদেলা আকাশ এবং রাতের দিকে মূলত পরিষ্কার আকাশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। আজ সকাল থেকে ঠাণ্ডার আভা না থাকলেও, রোদের তেজ কিছুটা কম রয়েছে আজকের দিনে।
প্রসঙ্গত, ২৯ শে মার্চ নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে । যা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ১ লা এপ্রিল। এরপর সেটা শক্তি বাড়িয়ে ৩ রা বা ৪ ঠা এপ্রিলেই আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। এই ঝড়ের নাম ‘টাউকটে’।তবে এই ঝড়ের উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে পারা গেলেও গতিপথ সম্পর্কে এখনই কিছু জানা যায়নি। তবে ঝড়ের গতিবেগ সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারণা করেছেন আবহাওয়াবিদরা। প্রথমে ঘণ্টায় ৬৫ – ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সূত্রপাত হলেও পরে গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫ কিলোমিটার হয়ে শেষের দিকে শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।