ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই মনে হচ্ছে, বিয়েবাড়িতে চলে এসেছি। বিয়ের সিজন শুরু হয়ে গিয়েছে। যিনি জানেন, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে, বিয়ে করছেন তিনিও। অর্থাৎ, চারদিক দেখলে মনে হচ্ছে, সকলের বিয়ে হয়ে গেল। সম্প্রতি সুজয়প্রসাদ (Sujoy Prosad Chatterjee)-এরও এমনটাই মনে হয়েছে। সম্প্রতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে শেয়ার করেছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
এই পোস্টের সাথে সুজয়প্রসাদ শেয়ার করেছেন একটি বিয়েবাড়িতে তাঁর নিজের ছবি। পরনে গোলাপি ধুতি, ধূসর রঙের পাঞ্জাবি যাতে সাদা সুতোর এমব্রয়ডারি রয়েছে। হাতের আঙুলে রয়েছে অনেকগুলি অক্সিডাইজড আংটি। রয়েছে ঘড়িও। সব মিলিয়ে নিমেষে নজরকাড়া সুজয়প্রসাদ। পোস্টে সুজয় লিখেছেন, ‘বেলাশেষে’ যে বছর মুক্তি পেয়েছিল, সেই বছর প্রচুর বিয়ের অনুরোধ এসেছিল তাঁর কাছে। এমনকি তাঁকে নিয়ে বিজ্ঞাপন করতে চেয়েছিল একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটও। তাঁর মা সুচেতা দেবী (Sucheta Devi)-কে ল্যান্ডফোনে অনেকেই বলেছিলেন ছেলের বিয়ে দিতে। অনেকে আবার নিজেদের পাড়ার সুন্দরী মেয়ের সন্মন্ধ এনেছিলেন সুজয়প্রসাদের জন্য। মেসেঞ্জারে একটি মেয়ে প্রায়ই লিখতেন, তিনি বাঁচবেন না সুজয়প্রসাদকে ছাড়া।
সুজয়প্রসাদের কাছে বিয়ে একটি রূপকথার মতো যা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া যায়। তিনি জানালেন, তাঁর মাঝে মাঝেই মনে হয়, সত্যিই কি কোথাও অসম্পূর্ণতা রয়ে গেল! সুজয়প্রসাদ জানেন, বিয়ে নামক সামাজিক স্বীকৃতি হয়তো তিনি কোনোদিনই পাবেন না। অদ্ভুত দ্বৈরথের মধ্যে থাকতে থাকতেই তাঁর মনে হয়েছে এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। ফলে বন্ধুত্ব যাপনে অসুবিধা কোথায়?
‘বেলাশেষে’-র পর অবশ্য একটি মেয়ে গোছা গোছা চিঠি লিখতে শুরু করেছিল। শেষ অবধি মেয়েটিকে ডেকে বোঝাতে হয়েছিল সুজয়প্রসাদকে। তবু মেয়েটি বলেছিল সে সব মেনে নিয়ে তাঁর সাথে থাকতে রাজি। কিন্তু সুজয়প্রসাদ রাজি ছিলেন না। তবে তিনি জানালেন, পুরুষদের প্রেম একটু অন্যরকম হয়। বহু বিবাহিত পুরুষের সাথে সম্পর্কে থাকলেও কোনোদিন কারও ঘর ভাঙেননি সুজয়প্রসাদ। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই পুরুষদের কোনো অবস্থান নেই। তবে সুজয়প্রসাদ তো বলছেন সামাজিক স্বীকৃতির কথা।
প্রকৃত ভালোবাসার অর্থ দূরে থেকেও পাশে থাকা। অন্ধ সমর্থন নয়, ভুলগুলি শুধরে দেওয়া। ভালোবাসার কি সত্যিই সামাজিক স্বীকৃতি প্রয়োজন হয়? বোধ হয় নয়। কারণ এই অনুভূতি চিরন্তন।