Anubrata Mandal: বাবা অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন সুকন্যা!
ইডির (ED) জেরায় বেফাঁস মন্তব্য অনুব্রত (Anubarata Mandal) কন্যার। সম্পত্তির পাহাড় সম্পর্কে কিছুই না জানার বয়ান দিল সুকন্যা মন্ডল (Sukanya Mandal) অথচ সব নথিতে সই রয়েছে সুকন্যার। সম্পত্তির পাহাড় তার একাউন্টেই। এবার মেয়ের বয়ানকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেই অনুব্রতকে ফের গরু পাচার মামলায় জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুঁদে গোয়েন্দারা। তাহলে কি মেয়েকে কার্যত অন্ধকারে রেখে তার সই নিয়েই গরু পাচারের কালো টাকা ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল? মেয়ের বয়ানে এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৭ অক্টোবর সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করা হয়। কিন্তু এক বান্ধবীর চিকিৎসার জন্য সময় চাওয়ায় তাকে ফের ২ নভেম্বর তলব করা হয়। সেদিন নিজের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে নিয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন অনুব্রত কন্যা। পরপর তিন দিনে প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেই খবর। আর সেই জেরাতেই কি বাবার বিপক্ষে বয়ান দিল সুকন্যা? তদন্তকারী গোয়েন্দাদের দাবি, সুকন্যা তাদের সামনে বাস্তবটাই তুলে ধরেছেন। ইডি অফিসারদের বক্তব্য অনুযায়ী, সুকন্যা যেমনটা জানিয়েছেন, কোনও রকম আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। সব কিছুই জানেন তাঁর হিসাবরক্ষক। তিনি নাকি কোনও দিন ব্যাঙ্কে গিয়ে নগদ টাকা জমা দেননি। কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে, তা-ও তিনি জানেন না। সুকন্যা আরো জানান, তাঁর অ্যাকাউন্টে কত টাকা রয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি অন্ধকারে ছিলেন। তদন্ত শুরুর পরে ধীরে ধীরে তিনি সব কিছু জানতে পেরেছেন।
এদিকে সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশকেও টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তদন্তকারীরা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে সুকন্যার বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও রকম সদুত্তর দিতে পারেননি মণীশও। প্রশ্নের মুখে মণীশ অধিকাংশ সময়েই অসংলগ্ন বয়ান দিয়েছেন।
সুকন্যার বয়ান তাঁর বাবা অনুব্রতের বিরুদ্ধে যেতে পারে। ইডি-র তদন্তকারীরা সুকৌশলে সেই বয়ানকে অনুব্রতের বিরুদ্ধে আইনি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। ইডি-র খবর, সুকন্যা তাঁর সমস্ত বয়ান নিজের হাতে লিখেছেন। এবং জিজ্ঞাসাবাদের পুরো পর্ব তুলে রাখা হয়েছে ভিডিয়োয়।