Anubrata Mondal: সুকন্যাকে জেরা করতেই লটারি রহস্যের পর্দাফাঁস, কি তথ্য পেল সিবিআই!
তদন্ত শুরু হয়েছিল এক কোটি টাকার লটারি নিয়ে। নেপথ্যে ছিল সেই সিবিআই (CBI)। সেই নিয়ে জেরা শুরু হয়েছিল অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলকে (Sukanya Mondal)। আর সেই জেরাতেই এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটি নয়, আরো তিনটি লটারির টিকিটের হদিশ মিলেছে বলে দাবি সিবিআই গোয়েন্দাদের। সেই টিকিটের টাকাও কি ঢুকেছিল সুকন্যার একাউন্টেই? কি উঠে এল জেরায়?
লটারি রহস্য শুরু হয়েছিল বিগত কয়েকদিন আগেই।তদন্তে সিবিআই হদিশ পায় এমন একটি লটারি জয়ের, তার টাকা নাকি ঢোকানো হয়েছিল অনুব্রতর (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যার ব্যাংক একাউন্টে। তারপরেই চাপ বাড়ছিল ‘কেষ্ট’র। তাকে জেরা করতে আসানসোলের বিশেষ আদালতে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের অফিসাররা।তলব করা হয় অনুব্রতর মেয়েকেও। তাকেও ম্যারাথন জেরা করা হয় বলেই খবর। আর সেই জেরাতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সিবিআই সূত্রে খবর, ৫৪০৪৫ নম্বর টিকিটে অনুব্রত এক কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সেই টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। সেই টিকিট কেনা হয়েছিল বীরভূমের নাহিনা গ্রাম থেকে। লটারি জয়ের প্রায় ১০ মাস পর এই নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে সিবিআই। সেখানে বোলপুরের লটারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন। সিবিআই ক্যাম্প থেকে মুন্না বেরিয়ে এলে তাঁকে অনুব্রতর লটারি জয় নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তখন মুন্না জানান, তিনি অনুব্রতকে কোনওকালে লটারি বিক্রি করেননি। এরপরেই অনুব্রত কন্যাকে জেরা করায় মেলে আরো দুটি টিকিটের সন্ধান।
এই লটারি রহস্যে সিবিআইয়ের অনুমান, কালো টাকাকে সাদা করতেই এই লটারির মাধ্যমকে হাতিয়ার করেছেন অনুব্রত মন্ডল। তবে এই অনুমান কতটা সত্যি, সেটার উত্তর দেবে সিবিআইয়ের আগামী তদন্ত।