Bengali SerialHoop Plus

Aindrila Sharma: আবারো টিভির পর্দায় দেখা যাবে ঐন্দ্রিলাকে, উদ্যোগ নিল এই চ্যানেল

ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) চলে গিয়েছেন বড্ড অসময়ে। কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহের উপর সময়। মাত্র চব্বিশ বছরের যাত্রাপথে পড়েছে পূর্ণচ্ছেদ। অন্তরালে চলে গিয়েছেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী (Sabyasachi Chowdhury)। থেমে গিয়েছে তাঁর কলম। পরিবারের কনিষ্ঠ কন্যার অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মা-বাবা-দিদি। মা শিখা শর্মা (Shikha Sharma) বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে মেয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর সময় নির্জলা উপবাস করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু তবু তিনি থাকলেন না। ঈশ্বরের কাছে সন্তানহারা মা-বাবার প্রশ্ন, কেন কেড়ে নিলে মিষ্টিকে! ঐশ্বর্য শর্মা (Aishwarya Sharma)-র স্মৃতি জুড়ে শুধুই দস্যি বোন। নিজের হাতে সাজিয়ে বিদায় দিয়েছিলেন মিষ্টিকে। কিন্তু এমন কথা তো ছিল না! দুই সারমেয় সন্তান এখনও তাদের মায়ের অপেক্ষায়। মা কি আর তাদের নিজের হাতে খাওয়াবেন না? বহু প্রশ্ন ধাক্কা দিয়ে ফিরে আসছে কুঁদঘাটের ফ্ল্যাটের দেওয়ালে।

শেষ ধারাবাহিক ছিল ‘জিয়নকাঠি’। এই ধারাবাহিকে প্রাণচঞ্চল জাহ্নবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। ‘জিয়ন কাঠি’-তে অভিনয়ের সময়ই দ্বিতীয়বার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তবু তারপরেও যতদিন সম্ভব চিকিৎসকের অধীনে থেকেই অভিনয় করে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু একের পর এক কেমোথেরাপির ফলে দূর্বল হয়ে পড়েছিলেন। বাধ্য হয়েই বিশ্রামে থাকতে হয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। অভিনয় থেকে নিতে হয়েছিল সাময়িক বিরতি। আবারও ফিরছে ‘জিয়নকাঠি’। ঐন্দ্রিলাকে নিয়েই ফিরে আসছে আরও একবার।

শরীর নশ্বর। আগুনের পরশমণিতে সে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিসর্জিত হয় অস্থি। কিন্তু জাহ্নবী বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর অভিনয়ের মাধ্যমে। ‘জিয়নকাঠি’ ঐন্দ্রিলাকে আরও একবার ফিরে দেখতে চলেছে সান বাংলা। আগামী 5 ই ডিসেম্বর সোমবার থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটার স্লটে সান বাংলায় হতে চলেছে ‘জিয়ন কাঠি’-র পুনঃসম্প্রচার। আরও একবার জাহ্নবীর রূপে দর্শকদের কাছে ফিরে আসছেন ঐন্দ্রিলা।

ঐন্দ্রিলাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য, তাঁর স্মৃতিচারণের জন্য প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে প্রচুর ইন্সটাগ্রাম রিল। তাঁকে নিয়ে লেখা হচ্ছে বহু কাহিনী। মিডিয়ার নজরে সবসময়ই ঐন্দ্রিলা। কিন্তু কয়েক বছর আগে কেন হল না এত কিছু? বহু আগেই তো অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। মার্জিত রুচি সম্পন্ন দক্ষ অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর জীবদ্দশায় মাত্র তিনটি ধারাবাহিক ও একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। দ্বিতীয়বার ক্যান্সারমুক্ত হওয়ার পর মিডিয়ার একাংশ মনোযোগ দেন ঐন্দ্রিলার দিকে। সব্যসাচী নিজেও জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলা যখন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেই হাসপাতালের সামনে বাড়ত মিডিয়ার ভিড়। কিন্তু সেই ভিড় ফাঁকা হয়ে যেত ঐন্দ্রিলা চিকিৎসায় সাড়া দিলেই। এবার একবার সকলের ভাবা উচিত, অবিচার করেননি তো স্বল্পায়ু অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলার প্রতি? রিল, ধারাবাহিকের পুনঃসম্প্রচার, তাঁর স্মৃতিচারণ কি তাহলে ঐন্দ্রিলার প্রতি করা অবিচারের প্রায়শ্চিত্ত?

whatsapp logo