দুর্গাপূজার মধ্যেই প্রবল বিপর্যয়, শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’
মারণ আমফানের রেষ কাটতে না কাটতেই এবার ধেয়ে আসছে আরও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গতি’। এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। প্রথমে নিম্নচাপ থেকেই নাকি এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি সঞ্চয় করছে বলে সতর্ক করেছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ক্রগামত শক্তি বাড়িয়ে দুর্গাপুজোর মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর থেকেই এই গতির সৃষ্টি হয়ে ক্রমশ পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে আসছে। রীতিমতো গতি চোখ রাঙানো শুরু করে দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে এই ঘূর্ণীঝড় শক্তিশালী রূপ নিয়ে অন্ধপ্রদেশ উপকূল দিয়ে প্রবেশ করবে বাংলায়।
প্রথমে ঘন্টায় ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে। তারপর শুরু হবে প্রবল ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। অন্ধ্রপ্রদেশে প্রদেশে লাল সংকেত জারি করার নির্দেশ দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে।
আবহাওয়া দফতর থেকে আরো জানানো হয়েছে, আন্দামান সাগর থেকে এই নিম্নচাপ প্রথমে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এ অবস্থান করছে এবং সেখান শক্তি সঞ্চয় করে এটি উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে আন্দামান-নিকোবরে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়ার পর থেকে আন্দামান সাগর এবং বঙ্গোপসাগর, অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা, উপকূলে এই দুদিন মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখিত, গতির সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক মহারাষ্ট্রে, রবিবার ও সোমবার প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। আর কলকাতাতে শনিবার ও রবিবার আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বাংলায়। তবে সোমবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবার গতির বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চয় করে তীরে আছড়ে পড়তে পারে। সেই সময়ই বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা পালিত হবে। গতির দাপটে এবার উৎসব ভেস্তে যেতে পারে। তবে গতির অভিমুখ তখন কোন দিকে থাকবে এখনও তা কিছু বলা সম্ভব হয়নি। অবশ্য বাংলাদেশের দিকে গতির মোড় ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।