“পাশের বাড়ির কাকুকে যারা বাবা ভাবে, তারাই এমনটা করে!” স্বস্তিকা (Swastika Mukherjee) কি এমনটা ভাবেন? প্রশ্ন নেট জনতার। “আমাদের মসজিদে আগামী সকালে গীতাপাঠ হোক ইস্পাত আলোর মরশুম।এটি লিখে একটা পোস্টার করে দেখান দেখি কত বড় ক্ষমতা আপনার।আপনার অতীত আমরা ভুলে যাইনি।আপনি জনসমক্ষে এসে এসব কথা বলেন কি করে।“। উত্তর কি আছে স্বস্তিকার কাছে?
“মন্দিরে আজান শুনতে চান কেন? আপনাদের মসজিদে ঢুকে শুনতে দেবে না বলে? মাঝে মাঝে এসব পোস্ট করে নিজের রিচ বাড়ান ভালো কথা। আমরাও খিল্লি করে মনোরঞ্জন করি। জানি আপনারা কখনোই আমাদের মসজিদে মহালয়া বাজুক দাবী তুলতে পারবেন না। কারণ আপনারা জানেন মসজিদ আপনাদের নয়।” বলিউডগামী স্বস্তিকার কাছে কি এর পর্যাপ্ত উত্তর আছে? “মন্দিরে কেন আযান হবে..? তাহলে মসজিদ গুলো কি জন্যে আছে…? ছ্যাবলামির একটা লিমিট থাকা উচিত..এভাবে সম্প্রীতি বাড়ানো যায়না,ওরা ওদের জায়গায় নির্বিঘ্নে প্রার্থনা করুক হিন্দুরা হিন্দুদের জায়গায় প্রার্থনা করুক ..কেউ যেন কারো বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেটাই আসল সম্প্রীতি,এমনিতেই নিজেরা তো রেজিস্টার্ড নাস্তিক,আপনাদেরকে কি ঠাকুর বা আল্লাহ বলেছেন..???মন্দিরে এসে আযান পড়লে ঠাকুর বা আল্লাহ খুশি হবে..??” উত্তর দেননি এইসব প্রশ্নের। অথচ, এই স্বস্তিকা প্রেসিডেন্সি কলেজে গিয়ে কিছু ছবি পোস্ট করেছেন একদল পড়ুয়ার সঙ্গে, যেখানে লেখা আছে – “আমাদের মন্দিরে আগামী সকালের আজান হোক ইস্পাত আলোর মরশুম।”
স্বস্তিকা বরাবর ঠোঁট কাটা, নিজেকে সাহসী ও শিক্ষিতা হিসেবেই সকলের সামনে তুলে ধরেন, এহেন শিল্পীর থেকে এমন অবাস্তব, অকল্পনীয় কথা আশা করতে পারেননি অনেকেই। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতেই ধুয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রীকে বহু সংখ্যক নেট জনতা।
কিছুদিন আগে দিদির পা ছুঁয়ে প্রণাম করা নিয়ে শুনে ছিলেন ‘চটি চাটা‘, ‘মেরুদন্ড হীন‘। সেইসব এর উত্তর অভিনেত্রী দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু আজকের পোস্ট করা ছবি ও মন্তব্যের নিয়ে স্বস্তিকা স্তব্ধ। তিনি কি মানুষের মনে আগুন ধরাতে চাইছেন? তিনি কি কোনো বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষামোদ করে চলতে চাইছেন নাকি আগামী দিনে ভোটের টিকিট পেতে চাইছেন? প্রশ্ন আপামর অনুরাগী, দর্শক, ও সাধারণ মানুষের।