Tanuka Chatterjee: শুটিং চলাকালীন স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পেলেন অভিনেত্রী তনুকা চট্টোপাধ্যায়!
সমাজে এখনও মহিলারা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পান না। কিন্তু ঘর তো বটেই কর্মজগতেও সমস্যার সমাধান মহিলারাই করেন। তাঁরাই সবচেয়ে বেশি হার্ডওয়ার্কিং। কিন্তু তবুও তাঁদের কর্মক্ষমতায় সন্দিহান কিছু পুরুষ তাঁদের জিজ্ঞাসা করেন, তাঁরা কি আদৌ কোনো কাজ করেন! উত্তর একটাই, মহিলাদের মতো ক্ষমতা পুরুষদের নেই। শারীরিক কর্মক্ষমতা ও মানসিক সহ্য ক্ষমতা দুই দিক থেকেই নারীশক্তি এগিয়ে। বিজ্ঞান তা প্রমাণ করে দিয়েছে অনেক আগেই। এই কারণেই হয়তো তনুকা চট্টোপাধ্যায় (Tanuka Chatterjee) পারলেন ব্যক্তিগত শোককে জয় করে শুটিং ফ্লোরে ফিরতে এবং তাও মাত্র একদিনের মাথায়।
View this post on Instagram
বর্তমানে ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে খড়ি-বনির মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন তনুকা। তাঁর চরিত্রের নাম চন্দ্রা। ব্যক্তিগত জীবনকে কোনোদিনই লাইমলাইটে আনার পক্ষপাতী নন তনুকা। তবু সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে মুহূর্তের দূর্বলতায় ফাঁস হয়ে গেল একটি ঘটনা যা তনুকার অপার মানসিক শক্তির পরিচায়ক। চলতি বছরের 29 শে মার্চ স্বামীকে হারিয়েছেন তনুকা। আচমকাই অসুস্থ হয়ে প্রয়াত হয়েছেন তনুকার স্বামী। ঘটনার দিন ‘গাঁটছড়া’-র শুটিং করছিলেন তনুকা। লাঞ্চ ব্রেকের সময় তাঁর স্বামী তনুকাকে ফোন করে দুপুরের খাবার খেয়েছেন কিনা জিজ্ঞাসা করতেন। সেদিনও ফোন এসেছিল। তবে তা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল তনুকাকে। শুটিং শেষ করতে পারেননি তিনি। তড়িঘড়ি বাড়ি পৌঁছে দেখেছিলেন, বত্রিশ বছরের জীবনসঙ্গী তাঁকে ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।
View this post on Instagram
তনুকা জানালেন, তাঁর স্বামীর সাথে বয়সের ব্যবধান ছিল দশ বছর। কিন্তু স্বামীর পরিবর্তে তিনি ছিলেন তনুকার শ্রেষ্ঠ বন্ধু। তিনি সংসার ধরে রেখেছিলেন বলেই অভিনেত্রী হতে পেরেছিলেন তনুকা। সকাল থেকে রাত অবধি তনুকা নির্ভরশীল ছিলেন তাঁর স্বামীর উপর। তাঁদের মেয়েকেও একা হাতেই সামলেছেন তনুকার স্বামী। তনুকার যাবতীয় অভিযোগ, মনের কথা সবকিছুই ফোন করে জানাতেন স্বামীকে। এমনকি প্রোডাকশন থেকে জল দিতে দেরি করলেও স্বামীর কাছে যেত ফোন। স্বামীর আকস্মিক প্রয়াণের পর মাত্র একদিনের ছুটি নিয়েছিলেন তনুকা। একদিন পরে আবারও ফিরে এসেছিলেন খড়ি ও বনির মা হয়ে। শুধু ছিল না তনুকার সিঁথিতে সিঁদুর।
কাজকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলেই মনে করেন তনুকা। শুটিং ফ্লোরে থাকলে সাময়িক ভাবে কষ্ট ভুলে থাকেন তিনি। সাতদিনের সম্প্রচারের চাপে নিজের ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ ভুলে চরিত্রের আবেগ বাঁচেন তনুকা। কিন্তু শূন্যতা থেকেই যায়। শাশুড়ি এখনও বেঁচে আছেন। মেয়ের অবলম্বন তার মা। রয়েছে তনুকার সারমেয় সন্তান শ্যাডো। ফলে বুকের ভিতর কষ্টকে চেপে রেখেছেন তনুকা। শুধু মনে হয়, লাঞ্চ ব্রেকের ফোনটা আর সত্যিই আসবে না?
View this post on Instagram