whatsapp channel

তৃণমূলে টেলি দম্পতি নীল- তৃণা! দিদির পাশে থাকার কথা দিলেন

সামানেই বিধানসভার ভোটের আর বেশি দেরী নেই। ইতমধ্যেই ভোটের লড়াইয়ের আগে প্রতিটি দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। কে নেবে নবান্ন দখলের লড়াই এই নিয়ে চলছে জোড় আলোচানা। বিভিন্ন…

Avatar

HoopHaap Digital Media

সামানেই বিধানসভার ভোটের আর বেশি দেরী নেই। ইতমধ্যেই ভোটের লড়াইয়ের আগে প্রতিটি দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। কে নেবে নবান্ন দখলের লড়াই এই নিয়ে চলছে জোড় আলোচানা। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ভোটের প্রচার করতেও শুরু করে দিয়েছেন। জানুয়ারী থেকে শাসকদলে প্রবেশ ঘটেছে টলিউডের বহু তারকা। এদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যেই শনিবার সকাল ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন টেলিভিশন জগতের অতি জনপ্রিয় দু’টি মুখ নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা। শনিবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে প্রিয় দিদির দলে নাম লিখিয়ে ফেললেন এই নবদম্পতি।

ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে কলকাতার এক নামি রিসর্টে গ্র্যান্ড ওয়েডিং এ গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন টেলিভিশনের চেনা মুখ ‘নিখিল’ এবং ‘গুনগুনে’ তখনই নতুন বর-কনেকে আশীর্বাদ করতে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং । বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নীল তৃণার সবুজ শিবিরে নাম লেখানো নানান জল্পনা চলছিল। তবে নিশ্চিত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমনকী তৃণা এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, এখুনি রাজনীতির কথা তাঁরা ভাবছে না। তবে এবারে আর লুকোচুরি নয়, ঘাস ফুল শিবিরে দিদির হাত শক্ত করতে শনিবারই যোগদান করছেন নীল ও তৃণা।

নীল ভট্টাচার্য এবং তৃণা সাহা এই দুই তারকারই সোশ্যাল দুনিয়াতে অগণিত অনুরাগীর সংখ্যা। এক্ষেত্রে ঘাসফুল শিবিরে তাঁদের যোগদান যে বিশেষ লাভ আছে তা বোধহয় আর করে বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তৃণমূলে যোগ দিয়ে অভিনেত্রী তৃণা সাহা প্রথমেই নিজের প্রিয় দিদি অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন। এরপর তিনি আরো বললেন, দিদি চেয়েছেন তাঁরা তাঁর পাশে যেন থাকি । দিদির জন্য তাঁরা কাজ করবেন। তাঁরা নিজদের সৌভাগ্যবান মনে করেন।

এছাড়া তৃণা আরো বলেন, টলিউডের শিল্পীদের জন্য মমতা অনেক করেছেন। আর্টিস্ট ফোরাম আজ মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের জন্যও উনি অনেক করেছেন, বিশেষত কোভিডের সময়, আমফানের সময়। উনি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছেন। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী সহ বহু উন্নয়ন মূলক প্রকল্প নিয়েছেন। উনি যেভাবে সকলের পাশে দাঁড়ান, সেটা সত্যিই অসম্ভব অন্যদের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী একা মহিলা হয়েও সবকিছু সম্ভব করে দেখিয়েছেন। তাই তাঁর মনে হয়েছে দিদির সৈনিক হিসেবে পাশে থাকা উচিত।তিনিও চান দিদির পাশে থেকে রাজ্যের উন্নয়ন করতে। সবশেষে তৃণা বলেন, দিদি ছিলেন আছেন ও থাকবেন। আর তাঁরাও সর্বদা দিদির পাশে আছেন আর থাকবেন।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media