একবেলা নুন ভাত, পরে কি খাওয়া হবে ঠিক নেই, চরম দারিদ্রতার কথা শোনালেন ‘যমুনা ঢাকি’
‘যমুনা ঢাকি’ শেষ হলেও শ্বেতা কিন্তু এখনও জনপ্রিয়। তার ঝুলিতে একাধিক বাংলা ধারাবাহিকের লিড চরিত্র। দেখতেও তিনি অসামান্য সুন্দরী। খুব কম বয়সেই দুর্দান্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য।শুরুটা হয়েছিল ‘সিঁদুর খেলা’-র লিড চরিত্রের সাথে। প্রথম ধারাবাহিকে বাজিমাৎ অভিনেত্রী। এরপর ‘ভালবাসা ডট কম’, ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘জড়োয়ার ঝুমকো’, ‘কনককাঁকন’, ‘যমুনা ঢাকি’— পরপর ছ’টি বাংলা ধারাবাহিকে চুটিয়ে কাজ করেন।
ধারাবাহিকের আগেই রাজ চক্রবর্তীর থেকে বড় পর্দায় কাজ করার অফার পান শ্বেতা। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর নায়িকা চরিত্রের অফার দেন রাজ। তখন অভিনেত্রী ক্লাস নাইনে পড়তেন, ফলে ছবিটা করতে পারেননি। এর পর টুকটাক কাজ করেন ‘লে ছক্কা’, ‘প্রেম আমার’, ‘চ্যালেঞ্জ’-এ। ‘লাভ কানেকশন’ ছবিতে সেকেন্ড লিড করেন।
যে এতটা সফল তার সংগ্রাম কিন্তু ততটাই দুঃখজনক ও কঠিন ছিল। একবার শ্বেতা তার বাবার সঙ্গে দিদি নং ওয়ান শোতে যান, সেখানে গিয়েই নিজের অতীত জীবনের কঠিন সংগ্রামের কথা জানান।
একবার এক বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলেন শ্বেতা। সেই বন্ধুর বাথরুম দেখে অবাক। বন্ধুর বাথরুম দেখে মনে হয়েছিল এরকম ঘরে তো নিজেরাই থাকেন। জয়েন্ট ফ্যাকিল্টে বড় হয়ে ওঠা শ্বেতার ঘর ছিল ছোট, পুজোয় বাবা মা নতুন পোশাক কিনতে পারতেন না, এমনকি একবেলা নুন দিয়ে ভাত খেয়ে পরের বেলা কি দিয়ে খাবেন সেই নিয়েই ভাবতে হত। এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে শ্বেতা এখন একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। বাবা মায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেত্রী শেষে এও বলেন যে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত যদি বাবা মায়ের জন্য প্রাণ দিতে হয় দেব। হয়তো একই বলে বাবা মায়ের আশীর্বাদ ও সংগ্রামের ফল। বর্তমানে, এই শ্বেতা ভট্টাচার্য টলিউডের নতুন ছবি ‘প্রজাপতি’-র হাত ধরে ডেবিউ করতে চলেছেন।