whatsapp channel

‘দিদি নং ১’ নিয়ে রোস্টিং ভিডিও, রেগে গিয়ে খেতে দেননি কিরণের মা, রইলো ভিডিও

কিরণ দত্ত (kiran dutta) নামটির থেকেও তিনি বেশি পরিচিত ‘দি বং গাই’ নামে। এই মুহূর্তে বাংলার জনপ্রিয়তম ইউটিউবারদের অন্যতম ‘দি বং গাই’ কিরণ দত্ত। এবার ইউটিউবের পরিসর থেকে ‘দিদি নং…

Avatar

HoopHaap Digital Media

কিরণ দত্ত (kiran dutta) নামটির থেকেও তিনি বেশি পরিচিত ‘দি বং গাই’ নামে। এই মুহূর্তে বাংলার জনপ্রিয়তম ইউটিউবারদের অন্যতম ‘দি বং গাই’ কিরণ দত্ত। এবার ইউটিউবের পরিসর থেকে ‘দিদি নং 1′-এর মঞ্চে এসে তিনি হলেন রচনা (Rachana Banerjee)-র মুখোমুখি।

অবশ্যই কিরণ এসেছিলেন তাঁর মা ডলি দত্ত (Dolly dutta)-র সঙ্গে। অনেকেই জানেন, এই ‘দিদি নং 1′ নিয়ে একসময় কিরণ একটি মজার ভিডিও বানিয়েছিলেন। অপরদিকে কিরণের মা কিন্তু ‘দিদি নং 1′-এর একনিষ্ঠ দর্শক। রচনা কিরণকে বেকায়দায় ফেলার জন্য জিজ্ঞাসা করেছেন ‘দিদি নং 1′ নিয়ে কিরণ ভিডিও বানানোর পর তাঁর মায়ের রিয়্যাকশনের কথা। কিরণ ও তাঁর মা জানালেন, সেদিন কিরণের খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন তাঁর মা।

কথা উঠল কিরণের ইউটিউবার হয়ে ওঠার জার্নি নিয়েও। কিরণ জানালেন কন্টেন্ট তৈরি, শুটিং, এডিটিং সবই তিনি এখনও নিজে হাতেই করেন। ক্লাস এইটে পড়ার সময় থেকেই ছাদে বসে বন্ধুদের সঙ্গে কিরণ ভিডিও বানাতেন যা তাঁর মায়ের কাছে এখনও ‘ওইসব’ বলেই পরিচিত। কিরণ জানালেন, সেই সময় অত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারে জানতেন না। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়েও মা-বাবার বারণ সত্ত্বেও ভিডিও বানাতেন কিরণ। তাঁর মা-বাবা পছন্দ করতেন না ভিডিও বানানো। তাঁরা বলতেন, ইঞ্জিনিয়ারিংটা মন দিয়ে পড়তে। কিন্তু কিরণকে কে আটকাবে? সারা জীবন স্কুলে ফার্স্ট হওয়া কিরণ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে অঙ্কে ফেল করে গিয়েছিলেন ভিডিও বানানোর চক্করে। তবে কিরণের ভিডিও বানানোর পিছনে কিছুটা হলেও সমর্থন করতেন তাঁর মা ডলি। কিন্তু তিনি কখনও ভাবেননি, এটাই ছেলের কেরিয়ার হয়ে যাবে। তিনি ভাবতেন, মজা লাগছে ছেলের যখন তখন ভিডিও বানাক। তখন প্রায়ই তিনি ছেলের ভিডিও শুট করতেন মোবাইলের ক্যামেরায়। ফলে অধিকাংশ ভিডিওয় কিরণের মুখ দেখা যেত না। কারণ ডলির হাত ছিল অপটু। ফলে তিনি ঠিকমত শুটিং করতে পারতেন না। কিন্তু সেই ডলিও ‘দিদি নং 1′ দেখার সময় ভিডিও শুট করতে চাইতেন না।

কলেজের থার্ড ইয়ারে উঠে কিরণ সিরিয়াসলি ভিডিও বানানোর দিকে মন দেন। চমকে গিয়েছিলেন সেদিন, যেদিন একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেছিলেন তাঁর একটা ভিডিওতে দুই লাখ ভিউ হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে সেদিন ছিল ‘দি বং গাই’ হয়ে ওঠার শুরু। প্রথম রোজগার ছিল সাত হাজার টাকা। তখন কিরণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। মা বলেছিলেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকাটা দিয়ে দিতে। সেই দিন থেকে আজও কিরণের মায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই কিরণের রোজগারের টাকা ঢোকে। ইউটিউব থেকে রোজগারের টাকায় সম্প্রতি ফ্ল্যাট কিনেছেন কিরণ। নিজেদের বাড়িটাও রেনোভেশন করিয়েছেন। তবে এখনও বাকি আছে। রচনা সরাসরি জিজ্ঞাসা করলেন কিরণের গার্লফ্রেন্ড ব্যাপারে। শোনা যাচ্ছে, কিরণ নাকি তাঁর এক্স-গার্লফ্রেন্ড-এর কাছেই আবার ফিরে গিয়েছেন। কিরণ বলেছেন, তাঁর কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই এবং ওই ঘটনাটি শুধুই একটি ভিডিওর হেডলাইন ছিল। তবে কিরণ জানালেন, তাঁর জীবনের সমস্ত সিক্রেট, গার্লফ্রেন্ডদের কথা তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে শেয়ার করেন। এর মধ্যেও নেটিজেনদের একাংশ ‘দি বং গাই’-কে দু’টো বলেছেন। কিন্তু ‘সামটাইমস এনি পাবলিসিটি ইজ গুড পাবলিসিটি’।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media