রানাঘাটের রানুর (Ranu Mandal) দিন কেমন কাটছে? ভালো আছেন রানু? জবাব একটা – তার দুবেলা খাবার জুটছে না। অথচ তাকে ঘিরে যারা ভিডিও তৈরি করছেন তারা রাতারাতি ভাইরাল হচ্ছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মোটা টাকা আয় করছেন। অথচ, রানুকে কেউ এসে খাবার বা টাকা কিছুই দিচ্ছে না। রানু সেদিনও বেকার ছিলেন, আজও বেকার হয়ে গেলেন। রানাঘাটের স্টেশন তাকে মুম্বাই পৌঁছে দিয়েছে এক লাফে। অথচ, সেই মুম্বাই তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে পুরোনো ভাঙ্গা চোরা ঘরে। মুম্বাই কি তবে সত্যি স্বার্থপর?
বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে মানুষ যান অর্থ উপার্জনের জন্য। অথচ, সেই মুম্বাই রানুর দৈন দশা আরো বাড়িয়ে দিল। রানুর সকলের টিফিন শুধু চা আর নেতানো মেরি বিস্কুট। দুপুরে পাড়ার দোকানের পাঁচ টাকার সেদ্ধ চাউমিন, রাতে নিজেই পেটে কিল মেরে ঘুমোন।
ঠুনকো খ্যাতির বিড়ম্বনা যে রানুকে এতটা অসহনীয় করে তুলবে তা রানু নিজে কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি। যারা ইউটিবে ভিডিও করছেন তারা এসে ভিডিও করেই পালায়। কি দিয়ে যায়? রানুর কথায়, “গান শোনার শখ! সারাক্ষণ বাড়িতে ভিড়। কিন্তু কোনও জানোয়ার একটু খাবার আনে না! শুধু ভিডিও করে লাইক বাড়ানোর ধান্দা।” এখন রানু চব্বিশ ঘণ্টা গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখেন। একটু নিরিবিলিতে থাকতে চান শিল্পী।
লতাকণ্ঠী রানু কী পেলেন জীবনে? উত্তরে, “দেখে বুঝতে পারছেন না কী পেয়েছি? যারা মুম্বই নিয়ে গিয়েছিল তাদের গিয়ে জিজ্ঞেস করুন।” এখনও রানুর ঘরের পলেস্তারা খসা দেওয়ালে ঝোলে কাঠের যিশু খ্রিস্ট। সেদিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করেন তিনি। বলেন, “উনিই মালিক। আমাকে বিশ্বের কাছে চিনিয়েছেন উনি। ওঁর ভরসাতেই রয়েছি।”