Business Tips: ব্যবসা করতে গেলে মাথায় রাখুন এই পাঁচটি বিষয়, লাভ হবে লক্ষ লক্ষ টাকা
দিন প্রতিদিন মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিগত পাঁচ বছর আগের থেকে এখন মানুষের জীবনধারা অনেক বেশি বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সাংসারিক খরচও। বলা বাহুল্য, এখন একটি ‘মাইক্রো-ফ্যামিলি’তেও একজনের উপার্জনে সংসার চলে না। তাই পরিবারের একজন চাকরি করলেও তিনি আবার অন্য উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। আর এই কারণেই বাড়ির মধ্যে বসেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন অনেকেই। অনেকে যদিও এই ধরণের ব্যবসা শুরুও করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।
কিন্তু ব্যবসা শুরুর কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক রয়েছে। কারণ একটি ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেকগুলি বিষয় আগে থেকে ভেবে রাখতে হয়। ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই। তবে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য পাঁচটি এমন পরামর্শ রইল, যা আপনার ব্যবসার পথকে সুগম করবে।
◆ কাঁচামাল ও বিপণন স্থান নির্দিষ্ট করুন: একটি ব্যবসায় কাঁচামাল হল একটি অত্যাবশ্যকীয় জিনিস। তাই যে ব্যবসা শুরু করছেন, তার কাঁচামাল কোথায় স্থায়ীভাবে ও কম দামে কিনতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করুন। এছাড়াও উৎপাদিত পণ্য যেখানে বিক্রি করবেন, তার একটি স্থায়ী ঠিকানা স্থির করুন। এই দুটি বিষয় মসৃণ হলে তবেই সেই ব্যবসা দীর্ঘদিন চলে।
◆ প্রোডাক্টের মান বজায় রাখুন: উৎপাদিত দ্রব্য হল আপনার ব্যবসার মাপকাঠি। তাই কোনো অবস্থাতেই প্রোডাক্টের মান নীচে নামিয়ে আনবেন না। এতে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকা তর্কে এক মুহূর্তে বাদ পড়ে যেতে পারে আপনার কোম্পানি। তাই সম্ভব হলে উৎপাদনস্থল নিজে পর্যবেক্ষণ করুন।
◆ ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন: ব্যবসা কখনো খাপছাড়াভাবে করা উচিত নয়। অর্থাৎ প্রতিমাসে বা বছরে আপনার কারখানা বা অফিস বা উৎপাদিত দ্রব্য পরিবর্তন করবেন না। কারণ এমনটা হলে উলনার কোম্পানির নাম কম ছড়াবে। সেক্ষেত্রে বৃহৎ পরিসরে ব্যবসা করতে অনেকরকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
◆ প্রতিযোগীদের চিনুন: আপনার মতোই একই পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি আপনার ব্যবসার প্রতিযোগী। আর স্থানীয়ভাবে আপনার প্রতিযোগীকে প্রথমে খুজুন। চেষ্টা করুন তার থেকেও ভালো পণ্য ক্রেতাদের দিতে। এতে আপনার বিক্রয়স্থল বাড়বে দিন দিন।
◆ ঝুঁকি ও তার প্রভাব পর্যালোচনা করুন: ব্যবসায় কমবেশি ঝুঁকি সবাইকেই নিতে হয়। তবে সাতপাঁচ না ভেবে ঝুঁকি নেওয়া আগুনে পা দেওয়ার সমান বিপজ্জনক। তাই আগামীতে যে ঝুঁকি নেবেন ভাবছেন, তার ফলাফল কি হতে পারে, এই বিষয়ে একশবার ভাবুন। এমনটা করলে পরবর্তীতে সমস্যার মুখোমুখি হলেও তার সমাধান খুঁজে পাবেন সহজেই।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য, সমীক্ষার উপর লিখিত। ব্যবসার বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত।