Hoop Life

এই ৪ কারণের জন্য বিয়েতে স্বামীর বয়স স্ত্রীর থেকে বেশি হওয়া উচিত

নারী এবং পুরুষের মধ্যে অন্যতম পবিত্র বন্ধন বলে মানা হয় বিয়েকে (Marriage)। সাত জন্মের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একে অপরের সুখ দুঃখের সঙ্গী হওয়ার প্রতিজ্ঞা করে স্বামী (Husband) স্ত্রী (Wife)। বিবাহিত জীবন সুখের করতে একাধিক নিয়ম মানা হয়, যার মধ্যে অন্যতম হল স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ফারাক (Age Difference) থাকা। আধুনিক সময়ে অনেক কিছু বদলালেও দীর্ঘদিন ধরে মেনে আসা হচ্ছে, স্বামীর বয়স স্ত্রীর থেকে বেশি হওয়াটাই উচিত। বিশেষ ভারতের মতো দেশে অধিকাংশ বিয়েতেই এমনটা মানা হয়। এর নেপথ্যে অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে।

এর অন্যতম কারণ হল জৈবিক। কথায় বলে, মেয়েরা কুড়ি তেই বুড়ি। আসলেই মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বার্ধক্যের লক্ষণ তুলনামূলক দেরিতে দেখা যায়। তাই সমতা বজায় রাখতে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বয়স বেশি রাখতে বলা হয়। বয়স বাবার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে স্থিরতা, বিচক্ষণতা আসে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান থাকলে দুজনের সম্পর্ক সবসময় সতেজ থাকে। সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখে বয়সের পার্থক্য।

প্রতিটি সম্পর্কই গড়ে ওঠা ভালোবাসার উপরে ভিত্তি করে। সেটা বিয়েই হোক বা অন্য কোনো সম্পর্ক। আর কে না জানে, বয়সে বড়রা সবসময়ই ছোটদের ভালোবাসা, যত্নে ভরিয়ে রাখে। দরকার মতো ভুল ঠিকের ধারণা দেওয়া, শাসনও বড়রাই করে থাকেন। তেমনি বয়সে ছোটরা বড়দের দেখেই অনেক কিছু শেখে। বিয়ের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমনি। এতে ভারসাম্যও বজায় থাকে।

অর্থনৈতিক নিরাপত্তা থাকা কতটা জরুরি তা সকলেই জানেন। সবেমাত্র রোজগার করতে শুরু করা ব্যক্তিকে যদি ঘরে বাইরে দু দিকেই সংগ্রাম করতে হয় তাহলে সমস্যা বাড়ে। সেই কারণে বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য থাকা জরুরি। তবে এখন বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে তেমনি আবার সফল সম্পর্কও চোখে পড়ছে।

Related Articles