‘সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা’ সুপার কুল, হ্যান্ডসাম যীশু যদি এই গান গেয়ে ফেলেন তবে একদম সঠিক তাঁর জন্য। বাংলা মেগা সিরিয়াল ‘মহাপ্রভু’ দিয়ে যাত্রা শুরু যীশুর। তখনই এই গৌড় বর্ণের দীর্ঘ মানুষটি বহু দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিল, এমনকি মহিলা ফ্যানেদের সংখ্যাও বেড়েছিল। ২০২০ তে তিন-তিনখানা ছবি রিলিজ করে যীশুর। যেই যীশুকে একটা সময় পরিচালকরা মাঠে গোল দিতেই দেয়নি। এখন সে করছে শকুন্তলা দেবী, টাইপ রাইটার, মণি কর্ণিকা, স্কাই ফায়ার, দুর্গামতি-আরও কত কি? বাংলা হিন্দি দুই জায়গাতেই সমান তালে প্রতিভা ছড়িয়ে যাচ্ছেন যীশু। বিখ্যাত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের হাত ধরে করে ফেলেন ‘আবহমান’, ‘নৌকাডুবি’। দর্শক চায় যীশুকে তাইতো সঞ্চালনার কাজেও যীশুর ভুমিকা উল্লেখযোগ্য। আজ যীশুর অন্দরমহলে প্রবেশ করব আমরা। যীশুর পিছনে যেই স্তম্ভ আছে তাঁকে নিয়ে দু’চার কথা তুলে ধরব এই প্রতিবেদনে।
যীশু বিবাহিত হয়তো একথা সকলেই জানেন। স্ত্রীর নাম নীলাঞ্জনা শর্মা। ইনি প্রতিভাবান অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের মেয়ে। ২০০৪ এ সাতপাকে বাঁধা পড়েন যীশু-নীলাঞ্জনা। ঘরে দুটি কন্যা আছে এই সেলেব দম্পতির। এক মেতের নাম সারা আরেকটির নাম জারা। এই সারার সঙ্গে যীশু ‘উমা’ বলে একটি বাংলা সিনেমাও করে ফেলেন। কিন্ত স্ত্রী নীলাঞ্জনার সঙ্গে তাঁকে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যায়নি। অবশ্য অফস্ক্রিন রোম্যান্সে কেউ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। এখনো যীশু নিজে পছন্দ করে পোশাক কিনলেও নীলাঞ্জনার পছন্দের উপরেই চোখ বন্ধ করে ভরসা করেন তিনি। এমনকি পুজোতে তিনি কী কী পরবেন তার দায়িত্ব থাকে স্ত্রী নীলাঞ্জনার উপরেই।
বিরিয়ানি খেতে খুব পছন্দ করেন যীশু তাই পুজোর সময় বৌয়ের হাতে বিরিয়ানি মাস্ট।
নীলাঞ্জনাও একটা সময় অভিনয় করেন। তাঁর অভিনয়ের অভিষেক ঘটে সুব্রত সেন পরিচালিত স্বপ্নের ফেরিওয়ালা দিয়ে। এরপরেও দুটি সিনেমায় তাঁকে দেখা যায়। কিন্তু সিনেমা ছেড়ে সংসারেই মেতেছেন নীলাঞ্জনা। এমনও কথা শোনা গিয়েছে যীশু ও নীলাঞ্জনা বিয়ের পর অনেকদিন পর্যন্ত মাটিতে বিছানা করে শুয়েছিলেন। যখন নীলাঞ্জনা প্রেগন্যান্ট হন তখন নাকি বাড়িতে খাট আসে। বেশ বোঝা যাচ্ছে, রীতিমত স্ট্রাগল করেই এই দম্পতি এগিয়েছেন।
সিনেমা ছেড়ে দিয়েছেন নীলাঞ্জনা, কিন্তু কোন আক্ষেপ নেই তাঁর। স্বামীর সাফল্যেই তাঁর সাফল্য মনে করেন নীলাঞ্জনা। অবশ্য এই শিক্ষা নীলাঞ্জনা তাঁর মায়ের থেকে শিখেছেন। তিনি বুঝেছেন জীবনে আক্ষেপকে বাদের খাতায় রেখে যেকোনো কাজ করতে হয়। আর ঠিক তাই করে চলেছেন নীলাঞ্জনা ও যীশু একসঙ্গে। ১৬ বছর ধরে এখনো মসৃণ রয়েছে জিশু-নীলাঞ্জনার প্রেম।