Travel: বাড়ির কাছেই কেরলের আমেজ, এবার শীতে বাজেটের মধ্যে এই জায়গাটিই হোক উইকেন্ড ডেস্টিনেশন
ঘুরতে যাওয়া (Vacation) মানেই কারোর কাছে পাহাড়, কারোর কাছে সমুদ্র, কারোর কাছে আবার গহীন জঙ্গল। ভ্যাকেশন বলতে এখনও অনেকেই দীঘা, পুরী কিংবা দার্জিলিং এই আটকে আছেন। অটবিট জায়গা নিয়ে ইদানিং মাতামাতি শুরু হলেও মূলত পাহাড়ি এলাকাতেই অফবিট জায়গা খোঁজা হয়। কিন্তু এই রাজ্যেই এমন বহু জায়গা রয়েছে যেগুলোর খোঁজ এখনো অধিকাংশ ভ্রমণপ্রেমীর কাছেই নেই। আপন জন্মভূমি ছেড়ে সৌন্দর্য, শান্তি খুঁজতে অন্য রাজ্যে পাড়ি দেন তারা।
এই প্রতিবেদনে এমন একটি জায়গার খোঁজ থাকছে যেখানে যাওয়ার জন্য না অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে হবে, আর না লাগবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। জানলে অবাক হবেন, এই বাংলাতেই এমন একটি জায়গা রয়েছে যা দেখলে কেরলের সৌন্দর্য ভুলে যাবেন পর্যটকরা। উইকেন্ড ডেস্টিনেশনের জন্য উপযুক্ত এই জায়গাটিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাজেটের চিন্তাও করতে হবে না।
জায়গাটির নাম কৈখালী (Kaikhali)। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার এই জায়গাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খনি। কলকাতা থেকে বেশ কাছেই জায়গাটিতে যেতেও বেশি সময় লাগবে না। মাতলা এবং নিমানিয়া নদীর সঙ্গমস্থল চোখ জুড়াবে প্রকৃতিপ্রেমীদের। সুন্দর করে বাঁধানো নদীর পারে বসে শোভা উপভোগ করা যাবে যেমন, তেমনি থাকতে চাইলে তারও আছে ব্যবস্থা। এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালিত কৈখালী পর্যটন আবাস বা ফার্ম স্টে তে থাকার সু বন্দোবস্ত।
কৈখালী যাওয়ার একাধিক পথ রয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে জয়নগর মজিলপুর আসতে পারেন। তারপর সেখান থেকে ট্রেকার, অটো কিংবা ভ্যান পৌঁছে দেবে কৈখালী। এছাড়া সড়কপথেও কৈখালী পৌঁছানো সম্ভব। কম সময়ের মধ্যে, কিছু দিনের ছুটিতে, বিশেষ করে সপ্তাহান্তের ছুটির জন্য এই ছোট্ট ভ্যাকেশন একেবারে উপযোগী। তেমনি কৈখালী ঘোরা বা থাকার জন্য পকেটের চিন্তাও করতে হবে না। সকলের বাজেটের মধ্যেই এই ট্যুর হয়ে যাবে। তাই এবারের শীতকালে ছোট ভ্যাকেশন বা পিকনিকের ডেস্টিনেশন হতেই পারে কৈখালী।