Hair Care Tips: পুজোর আগেই পাবেন কুচকুচে কালো চুল, নারকেল তেলের সঙ্গে মেশান এই তিনটি উপকরণ
আপনি কি চুল কালো করতে চাইছেন সহজে? তাহলে নারকেল তেলের সঙ্গে এই তিনটি উপকরণ মিশিয়ে চুলকে কালো করুন। পার্লারে গেলেই একগাদা টাকা খরচে চুলের দফারফা? সেটা না করে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন নারকেল তেলের সঙ্গে এই তিনটি জিনিস। যা মিশিয়ে কি করে চুল কুচকুচে কালো রাখা যায়। বর্তমানে খুব তাড়াতাড়ি চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা হচ্ছে, শুধুমাত্র বয়স হলেই যে চুল পাকছে এমনটা নয়, অল্পবয়সীদের ও চুল সহজে পাকছে, নানান কারণে এমন হতে পারে। এছাড়া জিনগত কারন কিন্তু এই চুল পেকে যাওয়ার জন্য অনেকখানি দায়ী, এছাড়াও চুলের উপর নানান রকম অত্যাচার যেমন কেমিক্যাল ব্যবহার করার ফলে চুল পেকে যায়। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –
আমলকি –
আমলকি ভালো করে কেটে ধুয়ে তারপর মিক্সিতে বেটে নিয়ে নারকেল তেলের মিশিয়ে প্যাক বানান এবং মাথায় লাগিয়ে রেখে খানিকক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি একটা নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে দেখবেন আপনার চুল কালো, কুচকুচে হয়ে গেছে। শীতকাল ছাড়া খুব একটা ফ্রেশ পরিষ্কার আমলকি কিনতে পাওয়া যায় না, সেক্ষেত্রে শীতকালে আমলকি কিনে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন।
কারিপাতা –
কারিপাতা ভালো করে গাছ থেকে তুলে এনে ভালো করে ধুয়ে তারপর শুকিয়ে নিয়ে তেলে ফুটিয়ে মাথায় মাখুন। তেলে ফোটানো ছাড়াও কারিপাতাকে শুকিয়ে গুঁড়ো রাখতে পারেন, এই ঠান্ডা তেলও মিশিয়ে মাখতে পারেন। কারি পাতা চুল কালো করতে সাহায্য করে। আপনি যদি একটু দক্ষিণ ভারতের মহিলাদের দেখেন, তাহলে দেখবেন তাদের চুল একেবারে কুচকুচে কালো, সেখানে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে কারিপাতা পাওয়া যায়।
কালো জিরে –
কালো জিরে শুকনো খোলায় ভালো করে একটু নেড়ে নিয়ে তারপর মিক্সিতে গুঁড়ো করে রেখে দিন এবং যখন সুযোগ পাবেন, তখনই তেলে মিশিয়ে ভালো করে মাথায় মাখুন, দেখবেন চুল একেবারে কালো কুচকুচে হয়ে গেছে।
উপরে যে তিনটি উপকরণ বলা হলো তা যদি তিনটেই করতে পারেন তো খুব ভালো, যদি নাও পারেন তাহলে অন্ততপক্ষে একটাকে নিয়েই আপনি চুলের যত্ন নিতে পারেন। যাতে আপনার অকালপক্কতা দূর হবে এবং চুল কুচকুচে কালো হবে এবং চুল ওঠাও কমবে, বড় চুল ওঠা বন্ধ হবে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।