স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এক মজবুত বন্ধন এবং এক দীর্ঘ মেয়াদী সম্পর্ক। মানুষ এই একটা সম্পর্কের জন্য তিলে তিলে যেমন স্বপ্ন বুনে চলে তেমনই অর্থ উপার্জন করে তা সঞ্চয় করার চেষ্টা করে। একেবারে ঢাক ঢোল পিটিয়ে, লোক খাইয়ে বিয়ে তো হল, কিন্তু, বিয়ের কিছু মাস পর থেকেই শুরু বিবাদ। আর এই বিবাদের কারণ হল, স্ত্রীর ইনকাম বেশি স্বামীর থেকে।
কথায় বলে সম্পর্ক হয় সমানে সমানে। এদিকে স্ত্রী যদি স্বামীর থেকে কিঞ্চিৎ ইনকাম বেশি করে থাকেন তখনই শুরু হয় হীনমন্যতা এবং বিবাদ। কেন? এর কারণ কী? বিভিন্ন দম্পতির মধ্যে গবেষণা করে পাওয়া গিয়েছে যে স্ত্রীরা স্বামীর থেকে শারীরিক ও মানসিক দুই রকম ভাবেই তৃপ্ত হতে চায়। মানসিক তৃপ্তি মানেই সুখ শান্তি ও সময়িক বিলাসিতা। স্ত্রীরা পিতার ঘর থেকে আসার পর স্বামীর থেকে অনেক কিছু পেতে চায়। যখনই চাওয়া পাওয়াগুলো অপূর্ণ থেকে যায় তখনই শুরু হয় অশান্তি। এর মধ্যে ঢুকে যায় আর্থিক পরিস্থিতি। কে কম উপার্জন করছে কে বেশি এই নিয়ে শুরু হয় বিচার। আজকের প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারবো কিভাবে এই অশান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, একজন পুরুষের এক্ষেত্রে কি করা উচিৎ।
দেখুন, ইনকাম কম বেশি কাজ ও কার্যক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে। এখানে নারী পুরুষ হিসেবে কিছুই নির্ধারিত হয় না। সুতরাং, যখনই বিবাদের মধ্যে টাকা পয়সা এবং বেশি উপার্জন চলে আসবে তখনই একজনকে চুপ হয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে, একজন পুরুষের উচিত স্ত্রীর দাবি ঠান্ডা মাথায় শোনা। আপনি একবার মাথায় নিয়ে নিন যে সে কি চায় এবং এর জন্য আপনার কি করা উচিত এবং সামর্থ কতটা। যদি আপনার সামর্থ্য কুলায় আপনি কাজ গুলো করার চেষ্টা করবেন, আর যদি না করতে পারেন সেটা স্পষ্ট করে ভদ্র ভাষায় জানিয়ে দেবেন এবং এটাও বলবেন যে আপনি চেষ্টা করবেন পরবর্তীতে।
বিবাদ এড়িয়ে আপনাকে এও ভাবতে হবে যে আর কোন কাজ করা যায়। বর্তমান চাকরি ছেড়ে কি নতুন কোনো কাজ করা যাবে? এইসব ভাবতে হবে এবং এগোতে হবে। পাশাপাশি স্ত্রী যদি বুঝতে না চায় তাকে বুঝিয়ে বলা আপনার কাজ। আপনাকে তার মাথায় ভালো বুদ্ধি ঢালতে হবে এবং তাকে বোঝাতে হবে যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সামান্য কিছু টাকার অঙ্কের উপর নির্ভর করে না। আশা করা যায় এই তিনটি উপায়ে দাম্পত্য সহজ সরল হবে।