Hoop Life

Lifestyle: একসাথে ৩টি রুটি বা বিস্কুট খাওয়া উচিৎ নয় কেন! জেনে নিন আসল কারণ

দেশের নানা জায়গায় খাদ্যাভ্যাস হয় নানারকম। কিন্তু এই খাদ্যাভ্যাস নিয়েও রয়েছে নানান চল, নানান রীতিনীতি, নানান আঞ্চলিক নিয়মকানুন। কিন্তু এই খাবার কিভাবে তৈরি করলে কিংবা কিভাবে সেটি পরিবেশন করলে সেটি শরীরের পক্ষে সর্বোচ্চ কার্যক্ষম হয়, তা নিয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রে রয়েছে একটি মতবাদ। আপনার বাড়িতেও কি আপনাকে ৩ টি রুটি কিংবা ৩ টি বিস্কুট দেওয়া হয়না? সেটির কারণ জানেন? না জানলে দেখুন।

জ্যোতিষ অনুসারে খাবার থালায় একসঙ্গে তিনটে রুটি বা অন্যান্য খাবার দেওয়া অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয়। কিন্তু কেন এই ধারণা? এই নিয়ে হিন্দুধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত হিন্দুধর্মে তিন সংখ্যাটি অশুভ। সেই কারণে খাবারের ক্ষেত্রে তিন সংখ্যার ব্যবহার যতটা সম্ভব কম করার কথা বলা হয়ে থাকে। তাই থালায় একসঙ্গে তিনটে রুটি দিতে বারণ করে থাকেন বাড়ির বড়োরা। একই কারণে একসঙ্গে তিনটি রুটি, তিনটি বিস্কুট, তিনটি মিষ্টি এবং হাতা ভাত দিতেও বারণ করা হয়। এছাড়া কোনো মৃত মানুষের শ্রাদ্ধকর্ম করার সময় তাঁর উদ্দেশ্যে ‘পিন্ডদান’ অর্থাৎ যে খাবার নিবেদন করা হয়, সেটিও সংখ্যায় তিনটি থাকে। এই কারণেই একসঙ্গে তিনটে রুটি দিতে নেই। এছাড়াও তিনটি খাবার দিলে শত্রুতা বৃদ্ধির একটি ধারণাও বহুল প্রচলিত।

এছাড়াও এর একটি বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। সাধারণত ডাক্তাররা একবারে বেশি খেতে বারণ করেন। একবারে বেশি না খেয়ে বারবার অল্প অল্প করে খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। তাই একজন সুস্থ স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একসঙ্গে একটা ছোট বাটি ডাল, একটা ছোট বাটি সবজি, ৫০ গ্রাম চালের ভাত ও দুটো রুটি খাওয়া উচিত। তার বেশি খেয়ে ফেললে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তিনটি রুটি শরীরের পক্ষে পরিমিত নয়।

তবে এইসব ভাবনা অনেকেই মেনে চলেন না। তাদের ধারণা এইসবই ভ্রান্তমূল। তবে কোনো কোনো ঘটনা এই বিশ্বাসকে আরো বাড়িয়ে তোলে। আমাদের এই প্রতিবেদন কোনোরূপ অন্ধবিশ্বাসকে প্রশ্রয় দেওয়ার উদ্দেশ্যে লেখা হয়নি।

whatsapp logo