Lifestyle: ছোট থেকেই সন্তানদের শেখান কিছু অভ্যাস, প্রশংসার পাশাপাশি মিলবে দারুন সাফল্য
সময় হল সেই অদৃশ্য জিনিস যাকে শুধু ঘড়ির কাটাতে অনুভব করা যায়, বাকি সময় না একে ছোঁয়া যায় না বোঝা যায়। হ্যাঁ, সূর্যের যাওয়া আসা দেখলে বোঝা যায় সকাল থেকে দুপুর কিংবা বিকেল ও সন্ধ্যা হচ্ছে, নয়তো সময়কে বোঝার আর কোনো রাস্তা নেই। তবে, আমরা ঘড়ি থাকতেও অনেকেই সময়ের মূল্য দিতে পারি না। চলুন আজ বরং শিখি কিভাবে একটি শিশুকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সময় জ্ঞান শেখাবেন। HoopHaap.Com জানাবে Time management skills.
বাচ্চার সাথে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ঈশ্বরের নাম করুন। ঈশ্বরকে শুধু ডাকুন আপনি যাকে বিশ্বাস করেন। এবং চেষ্টা করুন ঘড়ি ধরে নিয়ম করে সকালে ওঠার। তাহলে ও আপনাকে দেখে দেখে একদিন এই স্বভাব অভ্যাসে পরিণত করে নেবে।
ক্যালেন্ডার ঘরে রাখুন। নিজে নিজের যেকোনো হাতের কাজ শেষ করার জন্য তারিখ বাঁধুন। আপনার বাচ্চা সেটা দেখবে এবং শিখবে। এবং, ওকে কোনো কাজ দেওয়ার পর দেখিয়ে দিন এই তারিখের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়া চাই। সেটা তারিখের বদলে ঘড়ি হতে পারে। যেমন – ওকে বলুন একটা অঙ্ক শেষ করতে হবে দশ মিনিটের মধ্যে। দেখুন ও পারছে কিনা বা চেষ্টা করছে কি না।
খাবার সময় নির্ধারণ করুন ও ঘণ্টার পর ঘন্টা খাবার প্লেট নিয়ে গল্প বা টিভি দেখা নয়। খান, উঠে যান। ও তাহলে খাবার টেবিলে বেশি সময় অপচয় করবে না ।
খেলতে গেলে ওকে জানিয়ে রাখুন এই সময়ের মধ্যে ঘরে আসতে হবে। যদি না আসতে পারে ওকে বোঝান। একবার দুইবার এবং বারবার। এরপরেও না বুঝলে ওকে রাতের খাবার একটু দেরিতে দিন। যাতে ও বোঝে যে একটা কাজ দেরি করে করলে আরেকটা কাজ পিছিয়ে যায়।
বাচ্চাকে ছোট থেকে যেকোনো খালাধুলোর সঙ্গে যুক্ত রাখুন। এবং মেডিটেশন এর মধ্যে রাখুন। এই দুটি ব্যাপার ওকে সময় জ্ঞান শিখতে সাহায্য করবে। আর আরো একটি ব্যাপার হল, বাচ্চাকে ছোট থেকে অঙ্কের প্রতি উৎসাহ দিন। অঙ্ক ওকে সময়ের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।
Disclaimer: উপরের সমস্ত তথ্য গবেষণা ও আলোচনা ভিত্তিক। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য নয়। যেকোনো কিছু সাহায্যের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।