মেয়েরা আস্তে আস্তে বড় হওয়ার সাথে সাথে স্তন যুগলের আকার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। পরবর্তীকালে তাই এক পুরুষ সঙ্গীর কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। কিন্তু এই আকর্ষণীয় শরীর বেশি দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে না। এর কারণ কিন্তু একমাত্র নিজেরাই। নিজেদের খাদ্যাভ্যাস জীবন যাত্রার মধ্যে নানান রকম খারাপ জিনিসকে নিয়ে আসার ফলে শরীরের নানা অংশ ক্রমশ আরো কুৎসিত হতে শুরু করে।
নিজেদেরই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যদি দেখতে কুৎসিত লাগে, তাহলে অপর সঙ্গীটির কি করে আপনাকে ভালো লাগবে? নিজেকে একবার প্রশ্ন করে দেখুন এই থেকেই সম্পর্কের মধ্যে চিড় শুরু হয়। তাই আর দেরি না করে কয়েকটা প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভরসা করুন। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন। এতে শরীর অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
প্রথমত, নিয়মিত যোগাযোগ করতে হবে যোগাভ্যাসের ফলে শরীরের মধ্যে সমস্ত রোগ কয়েক নিমেষের মধ্যে দূর হয়ে যায়, শরীরের মধ্যে রোগের বাসা থাকলে কোন ভাবেই শরীর আকর্ষণীয় হতে পারেনা। তাই সর্বপ্রথম শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই যোগাভ্যাস করুন। কপালভাতি প্রাণায়াম করলে স্তনের আকার সুন্দর থাকে। এছাড়াও যোগব্যায়ামের মধ্যে অসাধারণ একটি ব্যায়াম হল ভুজঙ্গাসন।
দ্বিতীয়তঃ, প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। জল হল আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখার একটি অসাধারণ উপাদান। নিয়ম করে প্রতিনিয়ত ১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। স্তনের আকার সুন্দর এবং নিটোল করতে জলের জুড়ি মেলা ভার।
তৃতীয়তঃ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে অতিরিক্ত জাঙ্কফুড, তেলজাতীয় মশলাদার খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। তার বদলে প্রচুর পরিমাণে সবজি খেতে হবে। সবজির মধ্যে অবশ্যই ব্রকলি, টমেটো, কাঁচা হলুদ, আমলকি, টক দই, দুধ ইত্যাদি রাখতে হবে।
চতুর্থত, তেল মাসাজ করা অবশ্যই দরকার। আপনার শরীরের আর পাঁচটা অংশের মতো স্তনের সৌন্দর্য বজায় রাখতে তেল মালিশ করা খুবই প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে যদি তেলটি মেথি দিয়ে বানানো হয় অর্থাৎ নারকেল তেল সামান্য গরম করে তার মধ্যে ১ চা-চামচ মেথি ফেলে ওই গরম তেল থেকে পাঁচ মিনিট ধরে ভালো করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে যে তেল তৈরি হবে সেই তেল স্তনের উপরে ভালো করে ক্লকওয়াইজ এবং এন্টি ক্লকওয়াইজ মাসাজ করুন, এতে যাদের স্তনের আকার ছোট তাদের বড় করতে সাহায্য করবে এবং স্তন সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।