ট্রেনিং ছাড়াই প্লেন উড়িয়ে তাক লাগালো তিতলি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রোলের বন্যা
বিকেলে সূর্য অস্ত যেতে না যেতে ধুম-তা-না-না-না! সন্ধে নামার আগেই রিমোট হাতে টিভির মা কাকিমারা ধারাবাহিকের নেশাতে নেশাগ্রস্ত। ধারাবাহিকের তো অনেক সময় কোনো মাথা মুন্ডু থাকেনা। ধারাবাহিকের যদি অভিনেতা ৪টে বিয়ে করে তাও দর্শক গপগপিয়ে গিলছেন। পারিবারিক কাহিনি, অর্ধভৌতিক থেকে পৌরাণিক কাহিনি,পরকীয়া সব ধরনের কাহিনি দেখারই সুযোগ মেলে এসব ধারাবাহিকে। তবে, অতিরঞ্জিত ভাবনা ও অতিরঞ্জিত মেলোড্রামা এখন মূল উপকরণ হয়ে উঠেছে এসব ধারাবাহিক।
বিকেল ৫ঃ৩০ মানে স্টার জলসা খুলে সাধারণ মানুষ বসে পড়ে তিতলি ধারাবাহিক দেখার জন্য। তিতলি এক কানে শুনতে না পাওয়া মেয়ের গল্প। যে মেয়ে ছোট থেকে কানে শোনেনা সে কেমন করে প্লেন ওড়াবে? এর ওপর চিত্রনাট্য নিয়ে শুরু হয় তিতলি ধারাবাহিক। বর্তমানে তিতলির বিয়ে হয়েছে। স্বামীকে পাশে নিয়ে পাইলট হওয়ার সফর শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গল্পে এল নতুন টুইস্ট। সম্প্রতি নতুন প্রোমোতে তেমনই ইঙ্গিত। দেখা যাচ্ছে, তিতলি স্বামী এবং পরিবারের সঙ্গে বিমানে চড়ে কোথাও যাচ্ছে৷ আর সেই সময় নিজের স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার জন্য মনমরা।
তখনই ঘটে যায় এক আশ্চর্য ঘটনা। পাইলটের হার্ট অ্যাটাক! হ্যা ঠিক ধরেছেন বুকের ব্যামো।আর পাইলটের পাশাপাশি কোনও সহকারী পাইলটও বিমান চালাতে পারছেন না। এই বিপদের সময় বসে না থেকে তিতলিও ওড়না জড়িয়ে, কোমর বাঁধলো আর মা দুর্গার মতো, অনায়াসে বসে পড়লেন বিমানচালকের সিটে আর কেউ তাকে বাধাও দিল না। আর এখানে শেষ নয় কানে না শুনতে পাওয়া তিতলি তার স্বামীকে বলল কন্ট্রোল রুমের নির্দেশ তাকে জানাতে। তারপর পটাপট নানারকম বাটন প্রেস করতে শুরু করল তিতলি। কোনো প্র্যাকটিকাল শিক্ষা ছাড়াই তিতলি ককপিটের মতো আকাশে ওড়ালো বিমান।
আর এই প্রোমো লঞ্চের পর দর্শক দেখে হাসবে নাকি কাঁদবে তা বোঝা মুশকিল। লেখক, নির্মাতা, অভিনেতা, অভিনেত্রী, প্রযোজকদের নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ট্রোলিং। দর্শকের একটাই প্রশ্ন একটাই। লেখক কি গাঁজা সেবন করে এই ধারাবাহিকটির গল্প লিখেছিল। যে প্রথমবার প্লেনে উঠেছে যাত্রী হিসাবে সে কি করে প্লেন চালায় কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়া। দর্শকদের ক্ষোভ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উপর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন একটাই আর্জি সিরিয়ালের টিআরপির জন্য এরকম গোঁজামিল দিয়ে স্ক্রিপ্ট না লেখা হলে ভালো হয়, এমনটাই দর্শকদেরও অভিমত।