সত্যজিৎ রায়কে জীবন্ত করে তুলেছিলেন অপরাজিত টিম। এখনও পর্যন্ত সগৌরবে চলেছে এই বাংলা সিনেমা। রূপটান শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর হাতের জাদুতে জিতু হয়ে উঠেছিলেন জীবন্ত সত্যজিৎ। প্রস্থেটিক মেক আপ থেকে শুরু করে, গায়ের রঙের বদল, সবটাই সম্ভব করে তুলেছিলেন মেক আপ আর্টিস্ট। বাহ্যিক দিক থেকে সত্যজিৎ হলেও অন্তরে অন্তরে নিজেকে সত্যজিৎ বানিয়েছিলেন টেলিভিশন আর্টিস্ট জিতু। অভিনেতার স্ত্রী নবনীতা এও শেয়ার করেন যে সত্যজিৎ রায়ের মতন দাত কপাটি করতে চেয়ে ডেন্টিস্টের কাছে পর্যন্ত ছুটেছেন জিতু। অন্তরে বাহিরে নিজেকে পূর্ণ সত্যজিৎ করাই ছিল মূল লক্ষ্য । অবশেষে জিতুর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
অপরাজিত ছবির প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানের কথায়, আগামী দিনে ‘অপরাজিত’ আরও ভালো ব্যবসা করবে। কারণ, প্রথম সপ্তাহের তুলনায় দ্বিতীয় সপ্তাহের শোয়ের সংখ্যা দ্বিগুণ। সারা ভারতে এই ছবি সাফল্যের মুখ দেখছে। আটটা রাজ্যের ১৮টা প্রেক্ষাগৃহে ‘অপরাজিত’ চলছে।
যদিও, নন্দনে ‘অপরাজিত’ প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে জায়গা পায়নি, আর এতেই ক্ষুব্ধ হন পরিচালক এবং প্রযোজক। অবশেষে তৃতীয় সপ্তাহে এই সিনেমা জায়গা পায়, এবং পেতেই বাজিমাৎ করে জিতু কমল অভিনীত অপরাজিত।
সম্প্রতি, রানার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে মাত্র ছয় দিনে এই সিনেমা কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে। রানার কথায়, প্রথম ছ’দিনে ১.৫৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন অনীক দত্ত পরিচালিত অপরাজিত। খুশি পরিচালক ও প্রযোজক উভয়েই। এই প্রসঙ্গে পরিচালকের কথায় – বেশি সংখ্যক মানুষ ছবি দেখলে তো ভালো লাগবেই। ছবি ব্যবসা করলে প্রযোজকেরও ভালো লাগবে। আমারও লাগবে। কারণ ভবিষ্যতে তা হলে ছবিতে লগ্নি করার উৎসাহ বাড়বে।