দুমাস অতিক্রান্ত। তরুণী অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) ছেড়ে গেছেন সকল পার্থিব মায়া। নিজের পরিবার-পরিজন, কাছের মানুষ তথা গোটা বাংলাকে কাঁদিয়ে নে ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিনেত্রী। তার মৃত্যুশোক যেন নভেম্বরের মৃদু শীতকে বাড়িয়ে দিয়েছিল কয়েকগুণ। আজ তার জন্মদিন। বেঁচে থাকলে আজ ২৫ বছরে পা রাখত মেয়েটা। কিন্তু ক্যানসার কেড়ে নিল সবকিছু। তাই আজ এমন একটা দিনেও বিষণ্নতা ঘিরে ধরেছে তার গোটা পরিবারকে। কেমন আছে এখন তারা?
এই দিনটিতে যখন বাড়িতে হত জাকজমক সেলিব্রেশন, কেক কেটে সবাইকে হাসিমুখে খাইয়ে দিত ঐন্দ্রিলা, ঠিক এমনই একটা দিনে সবটা ফাঁকা। আপাতত কলকাতার ফ্ল্যাটে রয়েছেন তার মা। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে। বড় মেয়েও রয়েছেন দিল্লিতে। তাই একাকীত্ব যেন আরো বেশি করে মেয়ের রেখে যাওয়া স্মৃতির সাগরে ডুবিয়ে রেখেছে শিখা শর্মাকে। মেয়ের জামাকাপড়, জুতো, বেডশিট থেকে জুতো, জানালার পর্দা, নিজের হাতে সাজিয়ে রাখা ঘর- এজৰ নিয়েই আজকের দিনটি কাটাচ্ছেন তিনি। তারও শরীর অসুস্থ। তবে সেই অসুস্থতা যেন আজ বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ।
রবিবার কাঁপা গলায় শিখা দেবী (Sikha Sharma) জানিয়েছেন, “২৫ বছর আগে এ দিন সকাল ৭টা ৩৪-এ আমার মিষ্টি জন্মেছিল। ফুটফুটে সুন্দর দেখতে। কী ফর্সা। আমার সেই ছোট্ট মিষ্টিটাকে নিজের কাছে রাখতে পারলাম না। শনিবার রাত থেকে ঘুমোতে পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। ওর জন্মদিনে নিজের হাতে মিষ্টির পছন্দের রান্না করতাম। পাঁচ রকম ভাজা, মাছ, মাংস। ও আবার চিংড়ির মালাইকারি খেতে খুব ভালবাসত।”
কিন্তু আজ কি সব্যসাচীও (Sabyasachi Choudhury) আসেননি তার কাছে? এই প্রশ্নের উত্তরে শিখা দেবী জানান, “হ্যাঁ, আজ হয়তো সব্যসাচী আসত। কিন্তু আমায় ফোন করেছিল সব্যসাচী। শনিবার থেকে ওর ধুম জ্বর। ১০৩ জ্বর উঠে গিয়েছে প্রায়। তাই আমায় বলল আসতে পারছি না। নিশ্চয়ই আজ ডাক্তার দেখাবে।” তারপর যে কথা বলতে বলতে তার চোখ ভিজে আসে, “আমি তো ভগবানের কাছে সুস্থ সন্তান চেয়েছিলাম। দীর্ঘায়ু চাইনি বলে কি আমার সঙ্গে এমনটা হল? কিন্তু আমার বাচ্চাটা তো সেই ১৫ বছর বয়স থেকে অসুস্থ ছিল। আজ ছোট্ট মিষ্টিকে ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছি না। সবটাই আমার জীবনে স্মৃতি হয়ে রয়ে গেল।”
View this post on Instagram