Payel De: পাহাড়ে ধস, প্রাণ হাতে করে সপরিবারে সমতলে অভিনেত্রী পায়েল দে
পুজোর ছুটিতে শ্বশুর-শাশুড়ী, স্বামী দ্বৈপায়ন (Dwaipayan) ও পুত্রসন্তান মেরাখ (Merakh)-কে নিয়ে কালিম্পংয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী পায়েল দে (Payel De)। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সাংঘাতিক বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়ে পড়েছে। পাহাড়ে ধস নেমেছে, বন্ধ একাধিক রাস্তা। টয়ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ। ফলে টাকনা নামের একটি গ্রামে গেস্ট হাউসে আটকে পড়েছিলেন পায়েলরা। টানা তিন দিন গেস্ট হাউসে থাকার পর বৃহস্পতিবার পনের মিনিট ধরে পায়ে হেঁটে নেমে অবশেষে গাড়ি পেয়েছেন তাঁরা। সপরিবারে নিরাপদে সমতলে ফিরেছেন পায়েল।
শিলিগুড়িতে থাকাকালীন পায়েল জানিয়েছেন, 15 ই অক্টোবর কালিম্পং থেকে 21 কিমি দূরে একটি নির্জন গ্রাম টাকনায় পৌঁছান তাঁরা। 16 ই অক্টোবর রাত থেকে শুরু হয় দুর্যোগ। চারিদিক অন্ধকারে ডুবে যায়। ইলেকট্রিসিটি না থাকার কারণে মোবাইল চার্জ করা যাচ্ছিল না। ফলে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পায়েলরা। সমতলে নামার পর পায়েল নিরাপদে বৃদ্ধ শ্বশুর ও শাশুড়ি, খুদে পুত্রসন্তান মেরাখ ও স্বামী দ্বৈপায়নকে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছাতে চান। পায়েল পর্যটকদের ভিড় পছন্দ করেন না বলে টাকনা গ্রামের নিরিবিলি পরিবেশকেই নিজেদের গন্তব্য হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথম দুদিন আবহাওয়া খুব ভালো ছিল। তাঁরা সবাই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। কিন্তু তৃতীয় দিন থেকে শুরু হল বৃষ্টি। প্রকৃতির সেই ভয়ঙ্কর রূপ পায়েল কোনোদিন ভুলবেন না। চলে গিয়েছিল ইলেকট্রিক। ফলে অন্ধকারে বসে পায়েল শুনেছেন টানা বৃষ্টির গর্জন। ততক্ষণে কালিম্পং থেকে নামার চারটি রাস্তার মধ্যে তিনটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
একটি রাস্তা দিয়ে কোনওক্রমে গাড়ি যাতায়াত করছে। কখনও সেই রাস্তা বন্ধ রেখে সারাই চলছে। এই রাস্তাটি দিয়েই কোনওক্রমে টাকনা থেকে শিলিগুড়ি আসার জন্য গাড়ি খুঁজতে নেমেছেন তাঁরা। মেরাখকেও টানা পনের মিনিট ব্যাগ কাঁধে হাঁটতে হয়েছে। কিন্তু ঠিক সময়ে সমতলে না পৌঁছানোর জন্য পায়েলদের ট্রেন মিস হয়ে গেছে। ফলে শুক্রবার ফ্লাইটে কলকাতায় ফিরছেন তাঁরা। অপরদিকে এই ঘটনার জন্য বাতিল হয়েছে পায়েল ও দ্বৈপায়নের এক দিনের শুটিং।
View this post on Instagram