চৈত্রের শেষেই ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির তুমুল তান্ডব দেখবে রাজ্যবাসী!
বসন্ত প্রায় শেষ! গ্রীষ্ম কড়া নাড়ছে দরজায়। এই বসন্তে বসেও মনে হচ্ছে ঘোর গ্রীষ্মে রয়েছি। মার্চ মাসের শুরুতেই ক্রমাগত চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। এই অবস্থায় আবহাওয়ার আরও কঠিন পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। এপ্রিল এবং জুন মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের থেকে উপরে থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। মার্চ মাসের শেষ দিন ও এপ্রিলের প্রথম দুই দিনে কলকাতায় রেকর্ড গরম পড়েছে। আগে মে মসে তীব্র দাবদাহ সহ্য করতে হত। তারপর গত ১০ বছর ধরে এপ্রিলেই সূর্য নিজের রূপ দেখাতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবছর সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে, মার্চ মাস থেকেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে।
মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী হতে পারে সপ্তাহ শেষে। যে হারে দিন দিন পারদের মাত্রা বেড়েই চলেছে সাধারণ মানুষ চাতক পাখির মতো বৃষ্টির আশায় বসে আছে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী রবিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় দমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এই টাকফাটা গরম দক্ষিণবঙ্গের মানুষ আপাতত সপ্তাহ শেষে বৃষ্টির প্রতীক্ষায় রয়েছে।
আজ বিকেলের পর থেকেই হাল্কা মেঘলা আকাশ হতে পারে রাজ্যের কিছু জেলাতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের মতো দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলোতে দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করেছে। ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা। দমকা হাওয়ায় বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে হতে পারে কালবৈশাখী।
শনি ও রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায়। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি নদীয়াতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং কালিম্পং এর কিছু অংশে দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টি হলেও হতে পারে।
শুক্রবার কলকাতা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সকালের দিকে আবছা রোদেলা আকাশ এবং রাতের দিকে মূলত মেঘলা আকাশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।