whatsapp channel

স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার, হলেন স্বর্ণযুগের অভিনেতা: জন্মদিনে কালী বন্দ্যোপাধ্যায়

আপনি কি স্বর্ণযুগের বাংলা সিনেমার ভক্ত? তাহলে নিশ্চয় কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনে থাকবেন। আজ তাঁর জন্মদিন। আজও সাদা-কালো পর্দার সেরা অভিনেতা তিনি। সেই ১৯৪০ থেকে বাংলা সিনেমা জগতে অভিনয় করে…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Advertisements
Advertisements

আপনি কি স্বর্ণযুগের বাংলা সিনেমার ভক্ত? তাহলে নিশ্চয় কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনে থাকবেন। আজ তাঁর জন্মদিন। আজও সাদা-কালো পর্দার সেরা অভিনেতা তিনি। সেই ১৯৪০ থেকে বাংলা সিনেমা জগতে অভিনয় করে আসছেন। সত্যজিৎ রায়ের হাতে গড়া কালী বন্দ্যোপাধ্যায় স্থান পেয়েছিলেন ‘পরশ পাথর’এ। যুদ্ধ, দাঙ্গা পেড়িয়ে প্রায় কয়েক দশক জুড়ে বাংলা সিনেমা জগতের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।

Advertisements

স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার, হলেন স্বর্ণযুগের অভিনেতা: জন্মদিনে কালী বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisements

নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। শুধু মাত্র বাংলা সিনেমাতেই যে তাঁর দক্ষতা প্রকাশ পেয়েছে তা নয়, ছোটবেলা থেকেই ফুটবল, বক্সিং, লাঠি খেলাতে পারদর্শী ছিলেন কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক ক্লাব তাঁকে ভাড়া করে খেলাতে নিয়ে যেতেন পর্যন্ত। তাঁর বাবা মণীন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন আইনজীবী। কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল যে তিনি বড় হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী হবেন। তাঁর মেজদা রমেন ছিলেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পরিবারের কেউই থিয়েটার ও নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু তিনি হয়ে উঠলেন শেষে গণনাট্য সংঘের সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন নাটকে তাঁকে দেখা যায়। ‘নয়ানপুর’, ‘সংকেত’, ‘ভাঙাবন্দর’, ‘বিসর্জন’ ‘দলিল’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

Advertisements

স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার, হলেন স্বর্ণযুগের অভিনেতা: জন্মদিনে কালী বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisements

‘বর্মার পথে’ ছবি দিয়ে শুরু করলেও সত্যজিৎ রায় ও ঋত্বিক ঘটকের হাত ধরে বহুদুর পর্যন্ত যাত্রা করেন। দিলেন ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘পরশ পাথর’, ‘অযান্ত্রিক’, ‘নাগরিক’, ‘লৌহকপাট’, ‘ডাকহরকরা’ র মতো হিট সিনেমা। তবে খুব অল্প বয়স থেকেই তাঁকে দাদু বা জ্যাঠু বা বয়স্কদের পাঠ করতে হয়েছে। অবশ্য কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্ধক্যের মুভিগুলিও হিট। উনি যেই সময় বাংলা সিনেমায় নেমেছিলেন তখন নায়ক-নায়িকা নিয়ে গদগদ প্রেমের গল্প পরিনেশন হত না। সিনেমায় থাকত গল্প, দৃশ্য, শব্দ, এবং দুর্দান্ত বার্তা। তাই তাঁর নায়ক হয়ে ওঠা হয়নি। তবে প্রায় সমস্ত সিনেমাতেই মুখ্য ভুমিকায় থেকেছিলেন। যেসময় তাপস পাল প্রসেঞ্জিতদের রাজ, সেই সময়েও কালী বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন ‘দাদার কীর্তি’, ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘ছোট বউ’ এর মতন হিট সিনেমা। আজও এই সিনেমা লোকে প্রাণভরে দেখে, অনুভব করে।

স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার, হলেন স্বর্ণযুগের অভিনেতা: জন্মদিনে কালী বন্দ্যোপাধ্যায়

একটা সময় উত্তমকুমারকেও বলতে শোনা যায়, “সৌমিত্র নয়, আমার আসল প্রতিদ্বন্দ্বী কালী বন্দ্যোপাধ্যায়।” এই সেই মানুষ যিনি কিনা মুম্বই গিয়ে হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন সত্তরের দশকে। কিন্তু সেখান থেকে বাংলায় ফিরে আসেন। বহুদিন পর্যন্ত বাংলায় অভিনয় করে যাওয়া কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ জন্মদিন।

whatsapp logo
Advertisements
Avatar