ডায়মন্ড হারবার শহরে বন্ধ টোটো, যানজট এড়াতে গিয়ে ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের
এখন কোনো কাজের জন্য রাস্তায় বেরোনো মানেই ট্রাফিক জ্যামের ঝক্কি পোয়ানো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জ্যামের সৃষ্টি হয় অটো এবং টোটোর (Toto) জন্য। এখন প্রায় সর্বত্রই ছেয়ে গিয়েছে অটো, টোটোয়। এদের দৌরাত্ম্যে রাস্তাঘাটে চলতে পারা দায়। উপরন্তু জ্যাম তো রয়েছেই। এবার যানজট এড়াতে বড় উদ্যোগ নেওয়া হল ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) শহরে। পুরসভা থেকে সমস্ত শহরে টোটো ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
টোটোর দৌরাত্ম্যে যানজট
পুর এলাকায় রয়েছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মূল সড়কের জেটি ঘাট মোড় থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত এক কিমি মতো রাস্তায় প্রায় আড়াই হাজার টোটো চলে। এই অংশটিই শহরের প্রাণকেন্দ্র। ফলত এখানে টোটোর দৌরাত্ম্যে যানজট বাড়ে। রাস্তার মাঝে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা আর নামানোর কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। স্টেশন থেকে মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার সময়েও সমস্যায় পড়তে হয়।
শহরে টোটো বন্ধ
ডায়মন্ড হারবারের পুরপ্রধান জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো এবং স্থানীয়দের সুবিধার কথা ভেবেই শহরে টোটো ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে। পুরসভার নির্দেশ মতো, এবার থেকে জেটি ঘাট থেকে বাটা পাম্পের মোড় থেকে ঢুকে নতুন বাইপাস রোড ধরে কপাটহাট, টোল ট্যাক্স মোড় পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবে টোটো। তবে রিজার্ভ করা টোটো শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান। কারণ অনেক সময়ে রোগী নিয়ে টোটো রিজার্ভ করে যান রোগীর বাড়ির লোকজন। সেক্ষেত্রে তাদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
ভোগান্তি যাত্রীদের
বিগত দুদিন ধরে শহরের মধ্যে ঢোকা বন্ধ হয়েছে টোটো। এতে যেমন যানজট কমেছে, তেমনি আবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে। আসলে ডায়মন্ড হারবার স্টেশনে নেমে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য টোটোই ভরসা অনেকের। তাছাড়া হাসপাতাল মোড় থেকে জেটি ঘাট পর্যন্ত এই প্রায় এক কিমি রাস্তায় কয়েকটি ভ্যান রিকশা ছাড়া আর কোনো বিকল্পও নেই। তাই হঠাৎ টোটো বন্ধ যাওয়ায় ভোগান্তিও বেড়েছে অনেকাংশে। এমতাবস্থায় টোটো বন্ধ না করে যানজট এড়ানোর বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজার দাবি উঠতে শুরু করেছে।