রেহাই পাবেন না কোনো কর্মচারী, সরকারি কাজে গড়িমসি রুখতে কড়া আইন আনছে নবান্ন
আজকাল আমাদের সকলকেই কমবেশি নানা কারণে সরকারি অফিসে ছুটতে হয়। সেই পঞ্চায়েত ইফিস হোক বা মিউনিসিপ্যালটি অফিস কিংবা কৃষি দফতর হোক বা এক্সচেঞ্জ অফিস কিংবা সমষ্টি উন্নয়ন অধিকারী বা জেলাশাসকের দফতর- সব অফিসেই প্রতিদিন নানা কারণে ছুটে যান নাগরিকরা। তবে সরকারি অফিসের কাজ মানেই পায়ের নিচের জুতো ক্ষয় পেয়ে যাওয়ার অবস্থা হয় প্রায় সকলের। কারণ সরকারি দফতরের কাজ সহজে হয়না, এই চলতি ধারণা রয়েছে আমাদের মধ্যে।
আর সেই ধারণা থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ সরকারি অফিসের কাজ করাতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় অনেকের। নানা সরকারি কাজে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয় অনেককে। তবে এবার এই সমস্যাকে দূর করতে কোমর বেঁধে লেগে পড়েছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধাতন মানুষকে এই ধরণের হয়রানি থেকে রেহাই দিতে চাইছেন। আর সেই কারণেই এবার থেকে সরকারি দফতরে কোনো গড়িমসি চোখে পড়লেই তৎক্ষণাৎ অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন সাধারণ নাগরিকরাও। কারণ এবার ‘জন পরিষেবা অধিকার আইন’কে শক্ত করছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে ‘জন পরিষেবা অধিকার আইন’ পাশ হয় রাজ্যে। আর সেই আইন অনুযায়ী, কোনো সরকারি দফতরে কোনো সরকারি কর্মী যদি কোনো কাজের ইচ্ছেপূর্বক গাফিলতি করেন, তাহলে সঠিক তদন্তের পর তার এক হাজার টাকা অবধি জরিমানা করা হবে। তবে সেই অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া ছিল অনেকটাই লম্বা। কারণ কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে তার উর্দ্ধতন অফিসারকে বিষয়টি জানাতে হত। তা না হলে আবার তার থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারীককে বিষয়টি জানাতে হত।
তবে এবার এই নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। জানা গেছে, এবার থেকে কোনো সরকারি অফিসে এমন গড়িমসি চোখে পড়লে আর সেই নাগরিককে উচ্চপদস্থ কোনো অফিসারের দ্বারস্থ হতে হবেনা। কারণ এবার থেকে সরাসরি জন পরিষেবা অধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। আর কমিশনের কাছে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। তবে এই আইন সবথেকে বেশি কার্যকরী হবে আধার কার্ড, রেশন কার্ড, জন্মের প্রমানপত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজে।