বাঙালিয়ানায় ভরপুর নীল তৃণার বিয়ের আসর, মেনুতে কী ছিল দেখুন এক ঝলকে
গতকাল ছিল তৃনীলের বিয়ে। হ্যা টলিপাড়ার মিষ্টি জুটি নীল তৃণার স্বপ্নের বিয়ে। এরা পর্দার ওপারে একসাথে অভিনয় না করলেও বাস্তব জীবনে এক মিষ্টি দুষ্টু রোম্যান্টিক কাপল। বিয়ের আগে এনগেজমেন্ট, সঙ্গীত, মেহেন্দী পাশ্চাত্যের ছোঁয়া থাকলেও সামাজিক বিয়েতে পুরোদস্তুর বাঙালি সাজ আর বাঙালি নিয়ম আচারে সাড়লেন। বিয়ের সন্ধ্যেতে সুন্দর করে বাঙালি সাজে সকলকে লাগিয়েছেন নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা। এই দিন দুজনকেই খাঁটি বাঙালিয়ানা বজায় রেখেছেন।
এই রোম্যান্টিক জুটির বিয়ের আসর বসেছিল তপসিয়ার আর্কিড ভবনে। এই প্রেমিক জুটির নতুন জীবনের শুরুর দিনটায় শুভেচ্ছা দিতে সাক্ষী থাকল টলিউড ও টলিউডের একাধিক তারকা। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে সনাতন রীতি মেনে সাতপাকে ঘুরলো এই দম্পতি। প্রথমে হল রেজিস্ট্রি ম্যারেজ তারপর সাত পাকে ঘুরলেন এইদিন। নবদম্পতিকে আর্শীবাদ দিতে হাজির হয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ টলিপাড়ার একাধিক সেলিব্রেটি।
ঠিক একই ভাবে অতিথি আপ্যায়ন করেছেন বাঙালিয়ানাতে। তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানের মেনু তালিকাতেও থাকল বাঙালির প্রিয় ট্রাডিশ্যানাল খাওয়ার-দাওয়ার। বিয়ে দেখার জন্য স্টাটারের জন্য ছিল এলাহি বন্দোবস্ত ছিল। শুরুতেই মকটেল, চা, কফি, ফুচকা, আলু চাট, পাপড়ি চাট, ছোলে টিক্কি দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন শুরু। মেইন কোর্সে ছিল বাঙালিয়ানা।
মেইন কোর্সে পেটপুজোর জন্য ছিল একাধিক খাবারে মেনু। নিরামিষ আমিষ সবই ছিল তালিকায়। শুরুতেই ছিল ছোলার ডাল, কড়াইসুঁটির কচুরি, ডাল মাখানি, বাটার নান, জিরে ভাত, সাদা ভাত, বাসন্তী পোলাও, চিতল মাছের মুইঠ্যা, পাঁঠার মাংসের কষা, চিংড়ি মালাইকারি, মিঠি মালাই চিকেন, ভেটকি পাতুরি। তৃণা জানালেন, মেনুর সব খাবারই তাঁর পছন্দের। মেনকোর্সের পর খাবারের তালিকায় ছিল মিষ্টিমুখ। বাঙালি মিষ্টিমুখে ছিল মিষ্টিরও হরেক রকম পদ। ছিল আটপৌরে পাটি সাপটা, খিরের মালপোয়া আর আইসক্রিম। কে কি খাবে তা নিয়ে অতিথীর মধ্যে ছিল বেশ চিন্তার বিষয়। বিয়েতে উপস্থিত সকলেরই খাওয়া দাওয়া বেশ পছন্দ হয়েছে।