Bird Flu: বাড়ছে বার্ড-ফ্লু আতঙ্ক, মাংস-ডিম খাওয়া কতখানি নিরাপদ? কি জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য সচিব!
সম্প্রতি ভারতের ছড়িয়ে পড়ছে বার্ড ফ্লু। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে পাওয়া এক খবর অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সাথে ভারতবর্ষেও এই ফ্লু ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এবার ফ্লু থেকে সাবধান করছেন চিকিৎসকরা। কি বলছেন চিকিৎসকরা? কতটা ভয়ংকর হতে পারে? এটি মানুষের জন্য।
বার্ড ফ্লু নিয়ে কি কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বার্ড ফ্লু হলো এক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এই ভাইরাসকে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বলে। ভারতে আগে H5N1 এবং H7N9 ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়েছিল। বর্তমানে ধরা পড়েছে H5N2। এই ভাইরাস বহন করে মূলত পাখিরা।
এর ফলে মানুষ কিভাবে আক্রান্ত হয়?
চিকিৎসকরা বলছেন, ১৯৯৭ সালে বার্ড ফ্লু র প্রথম মানুষের শরীরে পাওয়া গিয়েছিল মৃত পাখির প্রথম সংস্পর্শেই এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস করোনার মতোই মারাত্মক দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির লালার মাধ্যমে এই ভাইরাস দ্রুত অন্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে যদিও এমন ঘটনা এখনো পর্যন্ত এখানে ঘটেনি। তবে এমনটা হতে পারে।
ভারতে বার্ড ফ্লু -র প্রভাব কেমন?
মহারাষ্ট্র, কেরালা, ঝাড়খন্ড, অন্ধ্রপ্রদেশে একেবারে ছেয়ে গেছে এই ফ্লু এবং এই রাজ্য পোল্ট্রির মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এই ভাইরাসের। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের চার বছর বয়সী এক শিশুর শরীরে পাওয়া গেছে এই বার্ড ফ্লু ভাইরাস। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট এবং পেট ব্যথায় ভুগছিল তারা। পরীক্ষার পর জানা যায়, শরীরে রয়েছে বার্ড ফ্লু।
এই শিশুটির বার্ড ফ্লু কেন হল?
উত্তরবঙ্গের এই শিশুটির বাড়িতে হাঁস এবং মুরগির খামার ছিল। আর সেখান থেকেই শিশুটির শরীরে এমন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, তাছাড়া শিশুটির পরিবারের আর কারুর এই সংক্রমণ হয়নি। শিশুদের ফুসফুসজনিত কিছু সমস্যা দেখা গেছে।
মুরগির মাংস, ডিম খাওয়া যাবে তো?
মুরগি মাংস, ডিম খেলে এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হবে না তো? এখন এই প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সেক্রেটারির নারায়ন স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, যে এ বিষয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই, অযথা আতঙ্কিত হবেন না, স্বচ্ছন্দে মুরগির ডিম আর মাংস খেতে পারেন।