নিজের স্ত্রীর সঙ্গেই কুকর্ম রাজনৈতিক নেতার, এই সিরিজ একা দেখলেই মজা পাবেন
একবিংশ শতকের গোড়াতেও স্মার্ট ফোনের মতো ডিভাইসের কথা কেউ কল্পনা করতে পারত না। টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহ ছিল বিনোদনের মাধ্যম। টেলিভিশনের কেবল কানেকশন থাকা মানেই সেই পরিবারের সদস্যদের মনে হত, তাঁরা ভাগ্যবান। কিন্তু একবিংশ শতকের মাঝামাঝি আসার পর পাল্টে গিয়েছে বিনোদনের সংজ্ঞা। বর্তমানে হাতে হাতে স্মার্টফোন তো বটেই, টেলিভিশনও হয়ে উঠেছে স্মার্ট। মানবজীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে ওটিটি। 2020 ও 2021 সাল জুড়ে চলেছে করোনাকাল। মানুষ হয়ে পড়েছিল ঘরবন্দি। সেই সময় বাড়ে ওটিটির প্রতি মানুষের নির্ভরতা। বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্টের মধ্যে কিছু ওটিটি বিখ্যাত প্রাপ্তবয়স্ক কন্টেন্ট বানানোর কারণে। এদের মধ্যে অন্যতম হল উল্লু। কিন্তু এই ওটিটিতে এমন কিছু ওয়েব সিরিজ রয়েছে যেগুলি বার্তাবাহী
2021 সালের 12 ই জুলাই উল্লুর ইউটিউব চ্যানেলে লঞ্চ হয়েছিল ‘তন্দুর’-এর অফিশিয়াল ট্রেলার। ওয়েব সিরিজটি স্ট্রিম হয়েছিল ওই বছরের 23 শে জুলাই। ‘তন্দুর’-এর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রশমি দেশাই (Rashmi Desai), তনুজ ভিরওয়ানি (Tanuj Bhirwani) বিভু আগরওয়াল (Bibhu Agarwal)। ওয়েব সিরিজের প্রেক্ষাপট দিল্লী। ট্রেলারের শুরুতে দেখা যায়, নদী থেকে স্নান করে উঠছেন নায়ক। তাঁর নাম সাহিল শর্মা। তন্দুরের পরিভাষা যাঁর জীবন বদলে দিয়েছে।
সাহিল রাজনৈতিক নেতা। পাশাপাশি তাঁর একটি ধাবা রয়েছে। একসময় সেই ধাবার তন্দুরে মেলে এক মহিলার কঙ্কাল। ধাবার এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিল্লীর বুকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই খবর। সাহিল বলেন, তাঁকে বিরোধী রাজনৈতিক দল ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ধাবার কর্মচারীও জানায়, তাকে বিরোধীরা দশ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছে। কঙ্কালের শনাক্তকরণের সময় জানা যায়, এটি সাহিলের স্ত্রী পলকের মৃতদেহ। কঙ্কালটি শনাক্ত করেন পলকের বন্ধু। তিনি পলককে জন্মদিনে একটি আংটি উপহার দিয়েছিলেন। কঙ্কালের আঙুলের আংটি দেখে ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, এটি পলকের কঙ্কাল। সাহিল তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। এমনকি ওই ব্যক্তিকেও তিনি মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন।
পলককে গুলি করে হত্যা করেন সাহিল। তাঁকে তন্দুরে পুড়িয়ে দেন। কিন্তু আইনকে ফাঁকি দিতে পারেন না তিনি। গ্রেফতার করা হয় সাহিলকে। তবু সাহিল মনে করেন, পৃথিবীর চোখে খুনী হলেও তিনি এখনও পলককে আগের মতোই ভালোবাসেন।
ওয়েব সিরিজটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। 1995 সালে এই ধরনের একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল খোদ রাজধানীর বুকে। সুশীল শর্মা (Sushil Sharma) নামে এক রাজনৈতিক নেতা তাঁর স্ত্রী নয়না সাহানি (Naina Sahani)-কে খুন করার পর মৃতদেহটি বহু টুকরো করে তা তন্দুরে জ্বালিয়ে দেন। এই নৃশংস ঘটনার কারণে সুশীলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। নয়না সাহানি হত্যাকাণ্ড অবলম্বনে তৈরি ‘তন্দুর’-এর ট্রেলারের ভিউ এখনও অবধি সাড়ে বত্রিশ লক্ষ অতিক্রম করেছে।