রাত বাড়লেই বাড়ছে শীতের আমেজ। আর এর মাঝে রাত নামলে লেপের তলায় চরম আরাম খুঁজতে ব্যস্ত সকলেই। লেপের তলায় সঙ্গিনী থাকলে অল্প ছোঁয়ায় শরীরে উষ্ণতা বৃদ্ধি আর যেই থেকে যৌন সঙ্গম খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। যৌন খেলায় মত্ত হতে চান সকলেই। মনোবিদদের মতে, সম্পর্ক দৃঢ় রাখতে শারিরীক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। শরীরের সঙ্গে শরীরের স্পর্শ যেন দুটি মনকে আরো কাছাকাছি এনে দেয়। অনেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্ক ভালো না থাকলে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক হয় আলগা এবং ভঙ্গুর।
বিয়ের পর তো স্বামী স্ত্রীর মকধ্যে শারীরিক সম্পর্ক একটি খুবই সাধারণ বিষয়। তাই বিয়ের এই বিষয়টি নিয়ে একটা আগ্রহ বা কৌতুহল সকলেরই থাকে কমবেশি। তবে বিয়ের নানান রীতিনীতির মধ্যে যে বিষয়টা নিয়ে পুরুষ এবং নারী সকলের কৌতুহল থাকে, তা হল ফুলশয্যা। অনেকের কাছেই এই রাতটা ‘স্পেশ্যাল’ হয় কারণ অনেক ছেলে বা মেয়ে এই রাতেই বিপরীত লিঙ্গের কোনো মানুষের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠ হয়। তবে সবথেকে বেশি কৌতূহল থাকে পুরুষ মনে।
তবে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় অনেকেরই অনেকরকম অভ্যাস থাকে। কেউ যেমন শারীরিক সম্পর্কের সময় জামাকাপড় শরীরে রাখতে পছন্দ করেন, কেউ আবার জামাকাপড় খুলে সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে থাকেন। আবার অনেকেরই এই একান্ত বিয়টিকে ঘিরে অনেক কৌতূহল বা চাহিদা থাকে। তবে সবার মধ্যে মোটামুটি একটি বিষয় সাধারণভাবে থাকে। আর সেটি হল, শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে আলো নিভিয়ে দেওয়া। অর্থাৎ অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সময় চারপাশ অন্ধকার করে দেওয়া। কিন্তু কেন এই রীতি রয়েছে? ভেবে দেখেছেন কি!
এক্ষেত্রে মনোবিদদের একটি মতামত ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিদরা মনে করেন যে মহিলারা সাধারণত নিজেরদের গোপন অঙ্গ নিয়ে বিশেষভাবে লজ্জিত হয়ে থাকে। আর যেহেতু শারীরিক সম্পর্কের সময় শরীরেরসব আবরণ সরিয়ে দেওয়া হয়, তাই সেই সময় লজ্জার অনুভূতি কাটিয়ে তুলতে মহিলারা আলো নিভিয়ে দিতে চান। এছাড়াও অনেক পুরুষ নিজেদের ভুঁড়ি নিয়ে লজ্জিত থাকেন। সেই কারণে সঙ্গিনীর থেকে নিজের চেহারা লুকানোর জন্য আলো নিভিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে।
