বর্তমানে তিনি নিজেকে একজন পেশাদার অসভ্য বলেই পরিচয় দেন। প্রতিদিন পেজ থ্রি-র পাতা সরগরম থাকে তাঁর বোল্ড লুক ও অদ্ভুত পোশাকের ফটোশ্যুটে। অধিকাংশ মানুষের কাছে তিনি অসভ্য, কুরুচিপূর্ণ একজন মহিলা। কেউ কেউ অবশ্য তাঁর সাহসের প্রশংসাও করেন। তবে, সব কিছুর মধ্যেও উরফি জাভেদ (Uorfi Javed / Urfi Javed) হলেন সেই মানুষ যিনি একাই লাইম লাইট কেড়ে নিতে পারেন মুহূর্তের মধ্যে।
১৫ ই অক্টোবর উরফি পা রেখেছেন ২৫ এ। কেমন কাটলো তার জীবনের ২৫ টা অধ্যায়? উত্তর দিয়েছেন উরফি নিজেই। নিজের জীবনের অন্ধকার ও বেদনাদায়ক অধ্যায়ের কথা নিজেই বলেন তিনি এক সাক্ষাৎকারে, যা শুনলে আপনি শিউরে উঠবেন!
তখন মাত্র ১১ বছর বয়স তার। সেই বয়সে অনেকের ঋতুস্রাব শুরুও হয়না। শৈশবের রেশ তখনও কাটে না, ঠিক সেই বয়সেই তার সঙ্গে ঘটে ভয়ানক ঘটনা। নাম না নিয়েই উরফি জানান, “মাত্র ১১ বছর বয়সে আমার ছবি অ্যাডাল্ট সাইটে পোস্ট করা হয়। এরপর আত্মীয়স্বজনরা আমাকে খুব কটাক্ষ করত। নীল ছবির নায়িকা বা পর্ণ স্টার বলেও আমাকে চূড়ান্ত অপমান করত।”
View this post on Instagram
মেয়েরা তাদের বাবার চোখের মণি হয়, সেই বাবা যদি মেয়েকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে তাহলে সেই সম্পর্ক কোথায় গিয়ে ঠেকে? সেরকমই, অভিনেত্রী নিজে বহুবার নিজের বাবার কাছে শারীরিক আর মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে বাড়ি থেকে পালিয়ে দিল্লি আসেন, এসে কল সেন্টারে কাজ করেন, এবং আরো পরে মুম্বাইতে পা রাখেন। কিছু খুচরো অভিনয় ও পরবর্তীতে বিগ বস ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুযোগ। এই মুহূর্তে উরফি জাভেদকে প্রায় সকলেই চেনেন। তার ড্রেস, স্টাইল এখন চর্চার বিষয়। তবে, তার জীবনের করুন কাহিনী তাকে এও সিদ্ধান্ত নিতে মজবুর করে যে জীবনে কখনো মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলেকে বিয়ে নয়।