Vastu Tips: বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে মেনে চলুন এই নিয়ম, অর্থনৈতিক সংকট দূর হবে
ভারত হল সনাতনী সংস্কৃতির দেশ। সেই কারণেই প্রাচীনতম শাস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল বাস্তুশাস্ত্র। বহু শতাব্দী ধরে এই শাস্ত্র আমাদের ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ বিষয়ে আভাষ দেওয়ার পাশাপাশি বসতবাড়ি সাজানো গোছানোর বিষয়ে নানা তথ্য দিয়ে আসছে। বাড়ির কোথায় কোন জিনিস রাখলে, বাড়িতে লক্ষ্মীর বসবাস হয়, সেই বিষয়েও নানা মত দিয়ে থাকেন বাস্তুবিদরা। তেমনই বাড়িতে কোন গাছ লাগলে, সেই বাড়িতে সমৃদ্ধির দেবীর কৃপা বর্ষণ হয়, সেই বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে।
বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়িতে লাগানোর জন্য শুভ ফলাফল প্রদান করে এমন কিছু গাছ হল মানিপ্ল্যান্ট, জেড প্ল্যান্ট, লাকি প্ল্যান্ট, ফ্রেন্ডশিপ প্ল্যান্ট ইত্যাদি। তবে শুধু এইসব গাছ নয়, বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানোর কথাও বলা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। মনে করা হয়, তুলসী গাছ বাড়িতে থাকলে সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আগমন ঘটে। তুলসী গাছ এনে বাড়িতে লাগালেই কিন্তু এর সুফল পাওয়া যায়না। বাস্তুশাস্ত্র মতে, তুলসী গাছ ভুল দিকে লাগলে এর প্রভাব বিরূপ হতে পারে। যেভাবে পূর্বদিকে তুলসী গাছ লাগানো উচিত নয়। এর ফলে বাড়িতে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। সেই কারণে বাস্তুবিদরা সর্বদা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে তুলসী গাছ বাড়ির উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে লাগানো উচিত। এতে বাড়ির উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হয়।
আবার অনেকবি মনে করেন যে কার্তিক মাসে তুলসী গাছ বাড়িতে এনে লাগালে তার সুফল পাওয়া যায়। কারণ এই মাসেই দেবী লক্ষ্মী সহ গণেশ ও কুবেরের পূজা করা হয়। একইসঙ্গে এই মাসে ভগবান ও দেবতাদের প্রতি বাতি দেওয়ার রীতিও রয়েছে হিন্দু ধর্মে। একইসঙ্গে তুলসী গাছের সামনে প্রদীপ দেওয়ার নিয়মও পালন করে থাকেন বাঙালি মহিলারা। কথিত রয়েছে যে এই সময় এমনটা করলে বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধির বিকাশ ঘটে।
তবে শুধুমাত্র তুলসী তলায় প্রদীপ দেওয়া নয়, কার্তিক মাসে দেবী তুলসীকে আরো কিছু উপায়ে আরাধনা করলে সুফল পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে তুলসী গাছে জল দেওয়াকে অত্যন্ত শুভকাজ বলে মনে করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কার্তিক মাসে তুলসী মঞ্চে স্বত্ত্বিক চিহ্ন আঁকলে তার সুফল পাওয়া যায়। এছাড়াও তুলসীকে আরাধনা করার সময় ‘শুভম করোতি কল্যানম, অর্ঘ্য দান সম্পাদম, শত্রু বুদ্ধি বিনাশায়, দ্বীপ জ্যোতি নমস্তুতে’- এই মন্ত্রোচ্চারণ করলে আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কোনোরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।