মাটি খুঁড়তেই বেড়িয়ে এলো ভগবানের মূর্তি, অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী ভারতের এই গ্রাম
দেশ-বিদেশ সম্পর্কে জানতে গেলেই আমাদের ইতিহাসের উপর নির্ভর করতে হয় আর ইতিহাস যে দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে সেই দুটি বিষয় হলেও একটি হাতে লেখা প্রমাণ অথবা মাটির তলা থেকে পাওয়া নানান রকমের প্রমাণ সবসময় হাতে লেখা প্রমাণের উপরে বিশ্বাস করা যায় না কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা মানুষের পৃষ্ঠপোষকতার ফলে সামান্য বিষয়ে সত্যতা জানা সম্ভব হয় না তখন নির্ভর করতে হয় প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের উপর।
একটি সভ্যতা কেমন ছিল, তার নগর কেমন ছিল, তার বসতি কেমন ছিল, সেখানকার মানুষের খাদ্যাভ্যাস কেমন ছিল, পোশাক-পরিচ্ছদ কেমন ছিল ধর্ম কি ছিল, সমস্ত কিছু জানতে পারা যায় সাহিত্যিক উপাদান এবং প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান থেকে। তখন লেখার চল ছিলনা, তাই এক্ষেত্রে অনেকটাই নির্ভর করতে হয় মাটির তলা থেকে পাওয়া নানার উপাদান থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর।
বেশ কয়েকদিন আগে কর্নাটকের সাকলেশপুর তালুকের হেমোবতি নদীর তীরে বেলুরু গ্রামে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে হঠাৎ ঈশ্বরের ৪ ফুটের একটি মূর্তি পাওয়া গেল। মূর্তিটি নিঃসন্দেহে ঈশ্বরের মূর্তি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেল এটি দ্বাদশ শতাব্দীর হারিয়ে যাওয়া একটি চন্নকেশাভাস্বামীর মূর্তি। মূর্তিটি পুরোপুরি অবস্থাতে পাওয়া গেছে। অনেক সময় প্রত্নতাত্ত্বিক কাজ চালু করার সময় কুড়ুলের আঘাতে অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যায়, তা অনেক সময় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পুরো মূর্তি পাওয়া সম্ভব হয় না, কিন্তু এক্ষেত্রে ঈশ্বরের মূর্তিটি পুরোটাই পাওয়া গেছে।
ভারতবর্ষের আনাচে-কানাচে কত সভ্যতাইনা এখনও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক দুদলের সাহায্যেই এই সমস্ত কিছুকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। এগুলি যত বেশি মাটির উপরে উঠে আসবে, তত আমাদের পক্ষে পুরনো ভারতবর্ষের ইতিহাসকে জানা সম্ভব হবে।