বলিউডে ত্রিকোণ প্রেম নতুন নয় একেবারেই। বহু বছর ধরে বহু অভিনেতা অভিনেত্রী জড়িয়ে পড়েছেন ত্রিকোণ প্রেমের বেড়াজালে। এদের মধ্যে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan), সলমন খান (Salman Khan) এবং বিবেক ওবেরয়ের (Vivek Oberoi) নাম না করলেই নয়। ঐশ্বর্যর জন্য বিতর্ক বিবাদেও জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই অভিনেতা। কেরিয়ারের শুরুর দিকে সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পরেই বিবেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁর, যা মোটেই পছন্দ করেননি সলমন। আর তার জেরেই দুজনের মধ্যে শত্রুতার সূত্রপাত।
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা জেতার পরেই বলিউডে অভিনয় জগতে পা রাখেন ঐশ্বর্য। তখনই সলমনের নজরে পড়েন তিনি। দুজনের প্রেম চর্চায় উঠে আসতে বেশি সময় লাগেনি। ঠিক তত দ্রুতই লাইমলাইটে এসেছিল সলমন ঐশ্বর্যর তিক্ততার প্রসঙ্গও। শোনা গিয়েছিল, অভিনেতা নাকি ঐশ্বর্যকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবেও নির্যাতন করেন। অভিনেত্রী নিজে বলেছিলেন, সলমনের ব্যবহার তাঁর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাঁর কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছে। সলমনের সঙ্গে তিনি আর থাকতে পারছেন না।
সলমনের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরোনোর পরেই বিবেকের সঙ্গে ঐশ্বর্যর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। যদিও প্রথমটা এই সম্পর্ক আড়ালেই রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিবেক ক্রমেই শত্রু হয়ে ওঠে সলমনের। শোনা যায়, গভীর রাতে ফোন করে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতেন অভিনেতা। খুনের হুমকি পর্যন্ত দিতেন। কিন্তু ঐশ্বর্যর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টা সকলের থেকে লুকিয়ে রেখে দিয়েছিলেন বিবেক। এমনকি নিজের বাবাকে পর্যন্ত জানতে দেননি তিনি।
পরেও কফি উইথ করণ শো তে এসে সলমনের ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন বিবেক। জানিয়েছিলেন, সলমনের উপরে তাঁর কোনো রাগ নেই। এমনকি প্রথম বার দেখে অভিনেতাকে যথেষ্ট ভালো মানুষ মনে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু সলমন যে ব্যবহার তাঁর সঙ্গে করছেন তা উচিত নয়। তিনি স্রেফ নিজের ভালোবাসাকে আগলে রাখতে চাইছেন। এতে তো কোনো ভুল নেই! বলা বাহুল্য, ভালোবাসা বলতে তিনি ঐশ্বর্যকেই বুঝিয়েছিলেন। যদিও সে সম্পর্কও বেশিদিন চলেনি। বিবেকের পর ঐশ্বর্যর জীবনে আসেন অভিষেক বচ্চন, যিনি পরবর্তীকালে তাঁর জীবনসঙ্গী হয়ে ওঠেন। তবে বর্তমানে অভিষেকের সঙ্গেও ঐশ্বর্যর বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে। এর মধ্যেই ফের চর্চায় উঠে এসেছেন বিবেক ওবেরয়।
