বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে বিষয়গুলি মেনে চললে সুস্থ যৌনজীবন উপভোগ করবেন
আমাদের প্রত্যেকটা জন্মদিন আমাদেরকে বার্ধক্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমরাও সেই বার্ধক্যকে হাসিমুখে সেলিব্রেট করি। যখন যৌবন থাকে তখন বার্ধক্যের কথা একটু মাথা রাখি না, জীবনের মধুর রসে ডুবে যাই। কিন্তু যখন বার্ধক্য এসে বলে আমি চলে এসেছি, তখন রঙিন জীবন যেন হঠাৎ করে থমকে যায়। সংসার শুরু হয় নিত্যদিনের অশান্তি, মনে আসে বিরক্তি, ছোটখাটো কারণেই ঘরে অশান্তি শুরু হয়ে যায়, হয়তো বোঝাই যায়না এই অশান্তির আসল কারণ কি। আসলে আমাদের হরমোনকে আর মনকে যখন এক জায়গায় আনতে পারি না তখনই শুরু হয় বিনা কারণে অশান্তি।
আজকের প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিভাবে নিজেদের যৌন জীবনকে অটুট রাখবেন এবং কিভাবে দাম্পত্যকে সফলতার ও গৌরবের সিঁড়িতে পৌঁছে দেবেন।
আগেকার দিনে একটা ব্যাপারে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হতো আর তা হলো ‘বয়স’। ছেলেদের বয়স মেয়ের বয়সের থেকে অন্তত ৫ বছরের বেশি হত। কেউ কেউ ১০ থেকে ১৫ বছরের ফারাকও রাখতেন। আপনি হয়তো ভাববেন যে কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে মানে মেয়েদের কোন পড়াশোনার বালাই নেই চাকরির বালাই নেই। ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। আসল কথা হলো একটি ছেলের এবং একটি মেয়ের বয়সের মধ্যে অন্তত পাঁচ বছরের ফারাক রাখা হতো এবং এর সঙ্গে চাকুরী বা পড়াশোনার কোনো সংযোগ নেই, আমরা ব্যাপারটিকে এমন জটিল ভাবে দেখছি যে একটা বিবাদ তৈরি হয়ে গেছে।
ধরে নিলাম একটি মেয়ের বয়স ২৫। এই বয়সের হিসেবে তার নিশ্চয়ই গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে যাওয়ার কথা এমনকি একটি চাকরিও খুঁজে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে একটি ছেলের বয়স যদি ৩০ বছর হয় অথবা ৩৫ এর মধ্যে হয় তবে কিন্তু ব্যাপারটি মন্দ হয় না। এর কারণ নিচে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
ধরে নিলাম একটি মেয়ের বয়স ৩৫, এই বয়সে তার চাকরি যেমন হয়ে যাওয়ার কথা তেমনি ব্যাংক ব্যালেন্স কিছু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু প্রেগনেন্সিতে সমস্যা আসতে পারে। যৌনজীবনে অনেকটা বিরতি পড়ে যায়। যদিও আজকের যুগের যৌনতা এবং বিয়ে দুটো ভিন্ন রুটে চলাফেরা করে। দিন দিন লিভ ইনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই কিরকম একাধিক কারণের জন্য।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যদি একটি মেয়ের বয়স এবং একটি ছেলের বয়সের মধ্যে অন্তত পাঁচ বছরের ফারাক থাকে তবে বাধ্যক্য তাদের ছুঁতে পারবে না। গবেষণা বলছে ছেলেদের যৌন উত্তেজনা অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত স্ট্রং থাকে। ঐ যে কথায় বলে ‘বুড়ো বয়সে ভিমরতি’ কথাটা কিন্তু সঠিক। মহিলাদের মেনোপজের পরে অর্থাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে যৌন ইচ্ছা গুলো আসতে আসতে নিভে যেতে শুরু করে। কিন্তু সেই সময় ছেলেদের যৌন আকাঙ্ক্ষা গড়ে একই রকম থাকে। এই জন্য জরুরী পয়সার ফারাক রাখা।
কথা হল এখন প্রায় মানুষই সেম এজে বিয়ে করেন। অর্থাৎ মেয়ের বয়স যদি ৩০ হয় তবে ছেলের বয়সও ৩০, কখনো কখনো আবার ছেলেদের বয়সে মেয়েদের বয়সের তুলনায় কম হয়ে যায়। এরকম ক্ষেত্রে আপনি আপনার বার্ধক্যকে কিভাবে এঞ্জয় করবেন ভেবেছেন?
এক্ষেত্রে কয়েকটি দুর্দান্ত উপায় আছে। নিয়মিত শরীর চর্চা করুন, ৩৫ এর পর থেকে চিনি এবং শর্করা জাতীয় খাবার একেবারে বাদ দিন। সন্তান থাকলে সন্তানের জন্য অতিরিক্ত সময় দিন। বছরে দুবার ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করুন। যেকোনো ছোটখাট উৎসবকে সেলিব্রেট করার চেষ্টা করুন। আপনার স্ত্রীর অথবা স্বামীর পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করুন। একে অপরের প্রশংসা করুন, স্মৃতিচারণ করুন – এইসবের মধ্যে দিয়ে আপনাদের জীবনের রোমান্স শেষ পর্যন্ত বজিয়ে থাকবে। এমনকি আপনাদের বয়স যদি ৬০ এর দোরগোড়ায় চলে যায় তাহলেও রোমান্সে কোনো ঘাটতি থাকবে না। প্রেমকে নতুনভাবে এক্সপ্লোরে করতে পারবেন।