Dish Washing Tips: রান্নাঘরের এই উপকরণেই পালাবে নাছোড়বান্দা পোড়া দাগ, বাসন হবে নতুনের মতো ঝকঝকে
রান্না করতে ভালোবাসেন অনেকেই। বিশেষ করে শীতকালে হরেক ধরণের শাকসবজি ওঠায় পদের ধরণও বেড়ে যায়। আমিষ, নিরামিষ নানান ধরণের রান্না কবজি ডুবিয়ে খেতেও ভালো লাগে শীতকালে। তবে শুধু খেলেই তো হয় না, পরিষ্কারও রাখতে হয় বাসন কোসন (Utensils)। আর এখানেই সমস্যায় ভোগেন অনেকে। মাঝে মধ্যেই উনুনের আগুনের আঁচ বেশি হয়ে গিয়ে পুড়ে যায় হাঁড়ি, কড়াই, রান্না করার পাত্র। এই পোড়া দাগ তুলতে ঘষে ঘষে মাজতে গিয়ে তখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড় হয়।
বাজারে বর্তমানে অনেক ধরণের এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাসন মাজার সাবান, লিকুইড জেল উপলব্ধ হয়ে উঠেছে। এসেছে স্পঞ্জ, স্টিলের তৈরি স্ক্রাবার। এগুলি দিয়ে মাজলেও অনেক সময় পোড়া দাগ উঠে যায়। তবে মাঝে মাঝে পাত্র বেশিই পুড়ে যায়। সেই নাছোড়বান্দা দাগ তোলার উপায় রয়েছে হাতের কাছেই। এই প্রতিবেদনে রইল বাসন ঝকঝকে করার সহজ টোটকা।
গ্রাম বাংলায় এখনো বাসন মাজতে বালি ব্যবহার করা হয়। বালির দানা দানা ভাব প্রাকৃতিক স্ক্রাবারের কাজ করে। বালি দিয়ে ঘষলেও পোড়া দাগ উঠে যায়। তবে বালি না পেলে নুন দিয়েও পরিষ্কার করা যায়। লেবু খুব ভালো পরিষ্কার করে। এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাসন মাজার সাবান বা পরিষ্কার করার লিকুইড সাবানেও লেবুর গুণ ব্যবহার করা হয়। লেবু বা ভিনিগার এর মতো জিনিস নিয়ে বাসন মাজলে দাগের সঙ্গে সঙ্গে বাজে গন্ধও দূর হয়।
নাছোড়বান্দা দাগ তুলতে বেকিং সোডা খুব ভালো কাজ করে। বাসন জলে ভিজিয়ে নিয়ে বেকিং সোডা মাখিয়ে রাখতে হবে মিনিট দশেক। তারপরে বাসন মাজার সাবান বা কোনো ভালো ডিশ ওয়াশিং লিকুইড দিয়ে ঘষে দিলেই পোড়া দাগ উঠে যাবে। এই সমস্ত উপকরণ উপলব্ধ রয়েছে প্রায় প্রত্যেকের রান্নাঘরেই। বাসন কোসন নতুনের মতোই ঝকঝক করবে এই সমস্ত ঘরোয়া সহজ টোটকায়।