Whatsapp Income: শুধু চ্যাটিং নয়, এবার রোজগার করা যাবে Whatsapp থেকে, জেনে নিন উপায়
আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহৃত জিনিসগুলির তালিকায় শবথেকে উপরে থাকে একটি এপ্লিকেশনের নাম। আর সেটি হল হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। সকালে ঘুম থেকে উঠে থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অব্দি এই চ্যাটিং এপ্লিকেশনে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়ার অভ্যেস এখন কমবেশি সকলেরই আছে। তাই এই এপ্লিকেশনের আসন্ন আপডেট নিয়ে সবারই কৌতূহল থাকে। আর এবার এমনই এক চমকপ্রদ আপডেট আনতে চলেছে জনপ্রিয় চ্যাটিং এপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ, যার মাধ্যমে এবার এই এপ্লিকেশন ব্যবহার করে রোজগার করার সুযোগ রয়েছে।
কিছুদিন আগেই নতুন হোয়াটসঅ্যাপ আপডেট এসেছে, যার মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল খোলা যাচ্ছে। অর্থাৎ ব্যক্তিগত চ্যাটরুমের বাইরেও সরাসরি বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে জুড়ে থাকা যাবে এই ফিচার্সের মাধ্যমে। এখন হোয়াটসঅ্যাপে নিজের চ্যানেল খুলে ফেলতে পারে যে কেউ। কারণ কিছুদিন আগেই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে এই আপডেট সকলের মধ্যেই রোল-আউট করা হয়েছে। তবে এবার এই চ্যানেল খোলার মাধ্যমে রোজগার করার সুযোগ থাকছে। কোন কোন উপায়ে হবে সেই রোজগার? দেখে নিন বিস্তারিত।
◆ অ্যাফিলেটেড মার্কেটিং: এই ধরণের কাজও মূলত সামাজিক মাধ্যম নির্ভর হয়। এক্ষেত্রে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে থাকা বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রচার করতে হয়। আপনি হোয়াটসঅ্যাপে নিজের চ্যানেল খুলে তার মাধ্যমে এই কাজটি অনায়াসে করতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে যার প্রচার থেকে যত বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি হবে, তার একটা ইনসেন্টিভ পাবেন সেই প্রচারক। আপনিও ফাঁকা সময়ে এই কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মাসে ২ লক্ষ টাকা অবধি রোজগার করা যায়।
◆ ফ্রিল্যান্সিং: আজকাল টাকার বিনিময়ে খুচরো কাজ করিয়ে নিতে চান অনেকেই। এই ধরণের কাজকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট রোজগার করা যায়। লেখালেখি, টাইপিং, ট্রান্সলেশন, কোডিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের মতো কাজ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কাজ ও দক্ষতা অনুযায়ী মাসিক ৫ লক্ষ টাকা অবধি রোজগার করা যেতে পারে। এই ধরণের কাজ দেওয়া নেওয়া এবার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে সহজেই করা যাবে।
◆ অনলাইন কোচিং: আপনি জফি একাডেমিক বা নন-একাডেমিক কখনো বিষয়ে টিউশন বা কোচিং করিয়ে থাকেন, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল আপনার এই কাজের এক বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। এর জন্য শুরুতেই হোয়াটসঅ্যাপে আপনার সংস্থা বা কোচিং সেন্টারের নামে একটি চ্যানেল খুলতে হবে। এবার সেখানে বাইরের মানুষ যুক্ত হলেই আপনার কোচিংয়ের মার্কেটিং করুন। এর মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের প্রমোশন করা যাবে সহজেই।