চাকরি না পেলেও ‘নো টেনশন’! বাংলার বেকারদের মাসিক ভাতা দেবে রাজ্য সরকার
ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা এবং তাদের রূপায়ণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে মমতা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে চালু হয়েছে একাধিক প্রকল্পের। আর এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষজন। এখনো অনেক প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের নানা ধরণের মানুষদের উন্নীত করতে সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। বলা বাহুল্য, এইসব প্রকল্পের রূপায়ণের মাধ্যমেই রাজ্যের উন্নয়নে এক বড় ভূমিকা নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার।
বর্তমানে রাজ্যে ৫০ টির বেশি প্রকল্প চালু রয়েছে। রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, কৃষকবন্ধু সহ অনেক প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্যে। তবে রাজ্যের আর সব প্রকল্পের মধ্যে কন্যাশ্রী হল একটি সর্বজনবিদিত প্রকল্প। এর মধ্যে যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বর্তমান সময়ে। বর্তমানে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় সিংহভাগ মহিলাদের মাসিক ভাতা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। সাধারণ মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
তবে শুধুমাত্র মহিলারা নয়, রাজ্যের যুব পুরুষ সমাজকে সাহায্য করতেও এক জনপ্রিয় প্রকল্প চালু করেছে মমতা সরকার। আর এই প্রকল্পের নাম হল ‘যুবশ্রী’। এই প্রকল্প নিয়ে এবার এসে গেল এক বড় আপডেট। এবার রাজ্যের শিক্ষিত বেকারদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে দেওয়া হবে ১৫০০ টাকা। তবে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে গেলে যেমন আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে, তেমনই তার কাছে রাখতে হবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ,মাধ্যমিকের মার্কশিট ও অ্যাডমিট কার্ড, যেকোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট সাইজ ফটো ও কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে তার প্রতিলিপি।
এবার জেনে নিন কিভাবে আবেদন করবেন এই প্রকল্পের জন্য। প্রথমেই https://employmentbankwb.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে জব সিকার অপশন সিলেক্ট করুন এবং নিউ এনরোলমেন্টে ক্লিক করুন। এরপর ব্যক্তিগত বিবরণ টাইপ করে লিখুন। সঙ্গে বর্তমান ডাক ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে ফর্মটি পূরণ করুন। তারপরে ক্যাপচা লিখুন এবং সাবমিটে ক্লিক করুন। এবার প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন। অনলাইনে আবেদন করার ৯০ দিনের মধ্যে এসডিও অফিসে জমা দিন।