Weather Report: বসন্তের প্রখর দাবদাহে অবশেষে স্বস্তির খবর, বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে তিলোত্তমা
মার্চ মাসেই যেন মে মাসের দাপট। প্রখর রৌদ্রতাপে বঙ্গবাসীর অবস্থা নাজেহাল। নাজেহাল গরমে হাঁসফাঁস করছে সবাই। বৃষ্টির জন্য কোন চিহ্ন নেই চারিদিকে। এখন যেন বসন্ত নিস্তেজ, বসন্তের আমেজ বিন্দুমাত্র টের পাচ্ছে না কেউ। বলা যায় গ্রীষ্মকালে প্রবেশ করে ফেলেছে বঙ্গবাসী।
তবে এরই মাঝে রয়েছে স্বস্তির খবর। দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করে রয়েছিল বাংলার মানুষ। আর আজ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সেই বৃষ্টির পূর্বাভাসেই সবুজ সংকেত দিল। আজ রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তা বলে গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না বাংলা। আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে সারাদিন ধরে।
আজ সারা দিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু বিক্ষিপ্ত এলাকায় হালকাভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে আবহাওয়ার কি পরিবর্তন যে খুব জোরালো তা নয়। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ থাকতে পারে ৯১ শতাংশ। আজ কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর অনুযায়ী আজ সকালের দিকে আকাশ বেশ পরিষ্কার থাকবে। যত বেলা বারবে আকাশ তত মেঘলা হতে শুরু করবে। রাজ্যে আজ বিক্ষিপ্তভাবে কমবেশি সবকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। গ্রীষ্মের একচেটিয়া আধিপত্যকে কিছুটা নিষ্ক্রিয় করতে এই বৃষ্টি কতটা কার্যকর হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে হালকা দু-এক পশলা বৃষ্টির মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে বঙ্গবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আধিকারিক জানিয়েছেন যে সিকিম থেকে ছত্তিশগড় অবধি অক্ষরেখায় বেশ পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। যার ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প বাংলাতে ঢুকবে। তাই এই বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি তাই সত্যি বললেও পাল্লা দিয়ে যে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকবে এ কথাও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।