তীব্র শীতের দাপট দুই বঙ্গে, হলুদ সর্তকতা জারি করা হল যেসব এলাকায়
আবহাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সোমবার এই শীতের মরশুমের দ্বিতীয় শীতলতম দিন ছিল। ২৭ ডিসেম্বরের পর ১ লা ফেব্রুয়ারীতেই তাপমাত্রার পারদ আবারও নেমেছিল বেশ অনেক। রিপোর্ট বলছে, গত ১০ বছরে ফেব্রুয়ারীতে তাপমাত্রার পারদ এতোটাও কোনোদিন নীচে নামেনি।
শৈতপ্রবাহের জেরে কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে সারা বাংলা। এদিন একের পর এক জেলায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে স্বাভাবিকের অন্তত পাঁচ ডিগ্রি নিচে। যার জেরে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আগামী দুদিন৷ ধরে বাংলায় এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আজকের কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানিয়েছে, বাংলার আকাশে সকালের দিকে আবছা রোদ এবং রাতের দিকে মূলত আবছা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদের মতো বেশ কিছু এলাকায় আজ শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময় হালকা কুয়াশা সহ তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এরপর থেকে আস্তে আস্তে বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ।
এই ঠান্ডার মধ্যে আর করোনা আবহে আজ এবং আগামীকাল বয়স্ক এবং শিশুদের ভোরের দিকে এবং রাতের দিকে বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়ার দফতর। বাকিদের মোটা উলের গরম পোশাক ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কবার্তা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে হলুদ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, এখনই বঙ্গবাসীর লেপ -কম্বল তুলে রাখার কোন প্রয়োজন নেই। শেষবেলায় অর্থাৎ ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ নাগাদ চলতে পারে এই শীতের আমেজ। ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি থেকে আবার পারদ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। বাংলার বেশ কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।