শীত বিদায়ের আগেই খেল দেখাবে আবহাওয়া, বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির আগাম পূর্বাভাস
শীত নেই বললেই চলে। রাজ্য থেকে শীতের বিদায়ঘণ্টা আগেই বেজে গিয়েছে। রাত আর ভোরের দিকে হাল্কা ঠান্ডা অনুভূতি। শনিবার সকাল শুরু ঘন কুয়াশায়। কুয়াশায় ঢেকে গিয়ে গিয়েছে ভোরের কলকাতা শহর। সকাল থেকেই আকাশে জমে আছে মেঘের ঘনঘাটা। মাঝখানে ধীরে ধীরে পারদ খানিকটা নামলে বেলা বাড়তে ফের বাড়ছে গরম। নতুন করে শীত আসার কোনো সম্ভাবনা নেই জানালেন হাওয়া অফিস। এবছরের মতো শীতের ব্যাটিং শেষ এখন শীতের বিশ্রাম নেওয়ার পালা।
রাজ্যে সেভাবে ঠান্ডা না থাকলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনও ঠাণ্ডার প্রভাব বজায় রয়েছে৷ বিশেষ করে দেশের উত্তরভাগে শীতের প্রভাব এরকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যাতে শৈত্যপ্রবাহ জারি থাকছে৷ এর মধ্যেই পশ্চিমি ঝঞ্ঝা তৈরি হচ্ছে । আবহাওয়া বিদরা জানাচ্ছে, বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বিভিন্ন স্থানে৷ এরমধ্যে মৌসম বিভাগ আগামী পাঁচদিন জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি এবং তুষারপাত হচ্ছিল৷
উত্তরাখণ্ডেও অধিকাংশ এলাকায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে পাশাপাশি তুষারপাতও হওয়ার সম্ভাবনা আছে।হবে৷ আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে তুষার ঝড়ও হবে৷ জম্মু-কাশ্মীর , লাদাখ, গিলগিট, বালিস্তান এবং মুজফরাবাদে ৫ দিন ধরে তুষার ঝড়ের পরিস্থিতির প্রভাব থাকবে সাথে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।
গাঙ্গেয় হাওয়ার দাপটে পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনায় কুয়াশার দেখা দিয়েছল ছিল সকাল থেকেই। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ওপরে ছিল। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি নাগাল্যান্ড থেকে লাক্ষাদ্বীপ পর্যন্ত একটি পশ্চিম হাওয়ার একটি রেখা চলে গিয়েছে। এছাড়া সিকিম ও সংলগ্ন এলাকার ওপরে থেকে ঘূর্ণাবর্ত এবং উত্তর প্রদেশ এবং সংলগ্ন বিহারের ওপরে এই ঘূর্ণাবাত শক্তি হারিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী তিন থেকে চারদিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই জানানো হয়েছে। তবে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতার কোনও কোনও জায়গায় সকালে কুয়াশার দেখা মিললেও বেলা যত বাড়বে তাপমাত্রার পারদ তত বাড়বে৷ ফলে ধীরে ধীরে গরমের প্রভাব পড়ছে বলে অনেকে মনে করছেন।