Weather Update: এল নিনোর প্রভাব দেশে, গরম নিয়ে চিন্তার খবর শোনালো আবহাওয়া দফতর
এবার শীতটা বেশ জাঁকিয়েই পড়েছিল বাংলায়। হিমেল পরশে কাঁপুনি ধরেছিল প্রতিটি জেলাতেই। শীত ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে অবশ্য। গরমও (Summer) অনুভূত হতে শুরু করেছে ফাল্গুন থেকেই। মার্চের শুরুতেই অনেক বাড়িতে সিলিং ফ্যান ঘুরতে শুরু করে দিয়েছে। আর এবার রাজ্যবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে এল বড় খবর। অবশ্য শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশের জন্যই রয়েছে যথেষ্ট চিন্তার খবর। গোটা দেশেই এবার গরমের তীব্রতা বাড়তে পারে সামগ্রিক ভাবে, এমনই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অংশেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের থেকে বেশি। দেশের বেশির ভাগ জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেশি থাকার পাশাপাশি তাপপ্রবাহের প্রবণতাও থাকবে বেশি। তবে জানা গিয়েছে, দেশের উত্তর পূর্ব, উত্তর পশ্চিম, মধ্য এবং দক্ষিণের কোনো কোনো জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার চেয়ে কম হতে পারে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মৌসম ভবনের তরফে। হিমালয়ের কিছু জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কম থাকতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য তাপমাত্রা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। উপরন্তু এল নিনো পরিস্থিতিও এখন সক্রিয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা, যে কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা। জুন মাস নাগাদ এল নিনো বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তারপর কিছু সময় নিউট্রাল থাকবে পরিস্থিতি। তারপর শুরু হবে লা নিনা পর্ব, যা বর্ষার জন্য ভালো বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরে জলের তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায় তাহলে হয় এল নিনো পরিস্থিতি। আবার তাপমাত্রা কমে গেলে তাকে বলে লা নিনা পরিস্থিতি। তবে গরম বেশি পড়লে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনাও বাড়বে বলে জানানো হচ্ছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। এমনিতেই মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী হয়। এবারে মার্চে দেশে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হওয়ার কথা বলা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে।